শ্রীরঞ্জি আরতিশঙ্কর-এর কবিতাwww.bangla-kobita.com ওয়েবসাইটে শ্রীরঞ্জি আরতিশঙ্কর-এর প্রকাশিত কবিতাসমূহ।uuid:7d185313-565e-4d50-be79-02a6df9502c9;id=2652024-03-29T10:20:07Zhttps://www.bangla-kobita.com/ranjit2410/post20150927021728/না ফিরে আসার বর্ণমালা2015-09-27T02:18:19-04:002023-06-25T23:28:01-04:00শ্রীরঞ্জি আরতিশঙ্করhttps://www.bangla-kobita.com/ranjit2410/<p>সাজানো-গুছোনো বাগান ;<br />যে ফুলগাছ, যে লতা, যেখানে যেমনটি মানায়, ঠিক তাই আছে ।<br />তোমার পছন্দ মতো করে তোলার জন্যই যে যত আয়োজন...<br />বাগানবাসী পাখিরাও সুশিক্ষিত ; <br /> গ্রীষ্মে বৃন্দানবী সারং,<br />বর্ষায় গৌড়-মল্লার তো বসন্তে ললিত-পঞ্চম ।<br />মেধাবী শিষ্টাচারী তৃণগুচ্ছ,<br /> অকারণ শ্যাম বাড়াবাড়ি বা নাবিকনীল উচ্ছ্বাস নেই ; <br />বেড়াতেও জড়িয়ে আছে রাধামাধবমঞ্জরি<br />পথরেখা এঁকেছে বঞ্জুল অঞ্জলিকারিকা ও কনককাঞ্চনকারিণী ।</p>
<br /><p>তুমি এলে । <br /> অতি সহজ, সাধারণ ।<br />অল্পেই সন্তুষ্ট বলে এত পারিপাট্য যেন পছন্দ হল না । <br />ফিরে গেলে । <br /> দৃষ্টিতে না ফিরে আসার বর্ণমালা ;</p>
<br /><p>ক্ষোভে হতাশায় ঝড়কে ডাকলাম, “সব ভেঙে তছনছ করে দে ।“<br />হা হা হা হা করে হেসে উঠে নতুন বস্তি উদ্বোধনে গেল ঝড় ।</p>
<br /><p>আগুনকে বললাম, “ জ্বালা...<br /> জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছারখার কর সব।“</p>
<br /><p>আগুন বলল, “ উহুঁ সে আমি পারব না, এখানে যে পা পড়েছে তাঁর !<br />বরং চাইলে তোমার বুকে থাকতে পারি ; <br /> রক্তধারায় ভাসাতেও পারি নৌকো-বোঝাই সূর্য-তারার শব ।“</p>@ 2024 - শ্রীরঞ্জি আরতিশঙ্করhttps://www.bangla-kobita.com/ranjit2410/post20150926034739/মা ২2015-09-26T03:49:30-04:002023-06-25T23:27:59-04:00শ্রীরঞ্জি আরতিশঙ্করhttps://www.bangla-kobita.com/ranjit2410/<p>আমি এক হকার । <br />শুকনো পাকানো দেহ, ভাঙা গাল, চোখের নীচে কালি ; <br />গাড়ি ঠেলতে ঠেলতে, এটা-সেটা বেচতে বেচতে<br /> শরীর নেতিয়ে যায় ;<br />কষে রক্ত-মাখা থুতু, <br />দমকে দমকে কাসি, ঝলকে ঝলকে রক্তবমি…<br />কখনও মাথা ঘুরে ধুলো-কাদার রাস্তায় মুখ থুবড়ে পড়ি... <br /> <br />আহা হা, উহু করছে সবাই......</p>
<br /><p>মা তখন উঠে দাঁড়ায় ;<br />মুখ ফ্যাকাসে, চোখে উদ্বেগ, কষ্টভয় …<br />--“খোকা…”</p>
<br /><p>বাবা বললেন, “ বোসো তো !<br /> আরে এটা অভিনয় ।”<br />মায়ের চোখে জল, ছল ছল ;<br /> “যদি সত্যি এমন হয় !”</p>@ 2024 - শ্রীরঞ্জি আরতিশঙ্করhttps://www.bangla-kobita.com/ranjit2410/post20150925050921/মাণ্টি মাসির জন্য2015-09-25T05:11:08-04:002023-06-25T23:28:00-04:00শ্রীরঞ্জি আরতিশঙ্করhttps://www.bangla-kobita.com/ranjit2410/<p>আমাদের পাঁচিল দেওয়া কোঠাবাড়ি ।<br />চারদিকে ঘন সবুজ গাছ-গাছালি, পুব দিকে একটা জামীর গাছ ;<br />সন্ধে হলেই হাওয়ায় মন-কেমন-করা গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে ...<br />তার পাশেই একটা লম্বা বুড়ো তাল,<br />গোড়ায় ঝোপ-ঝাড়, ফণীমনসা আর উইয়ের ঢিবি ;</p>
<br /><p>এক অভিজাত চন্দ্রচূড়ের সংসার । </p>
<br /><p>ছোটবেলায়, ‘এটা খাব না, ওটা খাব না’, বায়না ছিল খুব । <br />আমাকে খাওয়ানো ছিল বেশ ঝঞ্ঝাটের ব্যাপার ;<br />মাণ্টিমাসির ওপরে আমাকে খাওয়ানোর ভার ছিল । <br />কোলে তুলে ঘুরে ঘুরে সে কত খাওয়ানোর চেষ্টা ;<br />না পারলে তালগাছটা দেখিয়ে বলত, “ খেয়ে নাও, সোনা, <br />না খেলে, ঐ তালগাছে যে একানড়ে থাকে, সে এখনই নেমে আসবে ।“<br /> ভয় পেয়েও ভবী ভুলত কী ?</p>
<br /><p>আমি না খেলে মান্টি মাসির বকুনি খাওয়া ছিল বাঁধা ।<br />আমাকে বুকে আরও জোরে জড়িয়ে ধরত মাসি ;<br /> দু’টি চোখ ধারাশ্রাবণের মিনতিকদম্বমুকুল ।</p>
<br /><p>সে এক শারদ পূর্ণিমা সন্ধ্যা... চারদিকে ফিঙফোটা জ্যোৎস্না ;<br />মাণ্টিমাসি একা সেই বুড়ো তালের নীচে উইয়ের ঢিবিতে <br /> রানির মতো নাকি বসেছিল ...<br />রাত বাড়ছে...<br />মাণ্টিমাসির দেখা নেই ;<br />খুঁজতে খুঁজতে যখন মাসিকে পাওয়া গেল<br /> তখন ঘাড় হেলে পড়েছে, মূখে গ্যাঁজলা...<br /> রাত শেষ হওয়ার আগেই চলে গেল মাণ্টিমাসি ......</p>
<br /><p>আমরা তো তখন ছোট ;<br /> সকালে আমাদের বলা হল মাসি নাকি শ্বশুর-বাড়ি গেছে ;</p>
<br /><p>বড়ো হয়ে জেনেছি যা জানার ।<br />মাসিকে মেসো ত্যাগ করেছিল আগেই, <br />তবু কী করে যেন তার কোলের দখল নিতে আসতে চেয়েছিল<br /> আমারই এক প্রতিদ্বন্দ্বী !</p>
<br /><p>এখন আমি হাসি হাসি মুখে অপমান, সুখ-দুঃখ, আনন্দ, <br /> লাঞ্ছনা, উপেক্ষা, ব্যঙ্গ, গলাধাক্কা সব খেয়ে নিই...</p>
<br /><p>সে ওই একানড়ের ভয়ে নয়<br /> মাণ্টিমাসির জন্য......</p>@ 2024 - শ্রীরঞ্জি আরতিশঙ্করhttps://www.bangla-kobita.com/ranjit2410/post20150924022114/অজ্ঞান-সিন্ধু2015-09-24T02:25:28-04:002023-06-25T23:27:59-04:00শ্রীরঞ্জি আরতিশঙ্করhttps://www.bangla-kobita.com/ranjit2410/<p>জলে ঢেউ ;</p>
<br /><p>হাওয়ার কথা<br /> মনে রাখে না কেউ ।</p>@ 2024 - শ্রীরঞ্জি আরতিশঙ্করhttps://www.bangla-kobita.com/ranjit2410/post20150922023036/জেমস গাওয়ারের সমাধিলিপি2015-09-22T03:24:03-04:002023-06-25T23:27:59-04:00শ্রীরঞ্জি আরতিশঙ্করhttps://www.bangla-kobita.com/ranjit2410/<p>ঘীরূনুং মুষ ছুষ<br />ঘীরূনুং মুষ ঘীরীষ । ( রঁভঁঁৎ উপজাতিদের ভাষা ।)</p>
<br /><p>Carmen est domi,<br />Quod carmen est tumulus.<br /> (ল্যাটিন । অনুবাদ ঃ জেমস গাওয়ার )</p>
<br /><p>The poem is my home,<br />That poem is my tomb. <br /> (ইংরাজি । অনুবাদ ঃ নটবর ঘোষাল)</p>
<br /><p> যে কবিতা আমার ঘর,<br /> সেই কবিতাই আমার কবর ।</p>
<br /><p>*(জেমস গাওয়ার সম্পর্কে জানতে হলে নীচের মন্তব্য পাঠ করুন । )</p>@ 2024 - শ্রীরঞ্জি আরতিশঙ্করhttps://www.bangla-kobita.com/ranjit2410/post20150921021502/বিনিময়-মহাকাব্য2015-09-21T02:17:15-04:002023-06-25T23:27:57-04:00শ্রীরঞ্জি আরতিশঙ্করhttps://www.bangla-kobita.com/ranjit2410/<p>স্পর্শ দাও...<br />অগ্নি নাও...</p>@ 2024 - শ্রীরঞ্জি আরতিশঙ্করhttps://www.bangla-kobita.com/ranjit2410/post20150920044125/বাবু ও ভজা (ছড়া)2015-09-20T04:42:25-04:002023-06-27T00:53:01-04:00শ্রীরঞ্জি আরতিশঙ্করhttps://www.bangla-kobita.com/ranjit2410/<p>বাবু হাঁক পাড়লেন, “ওরে ভজা...ভজা... ওরে নবাব-পুত্তুর ভজা...”<br />গলা তুলে ভজন বলে, “বাবু...যাই...পেরায় শেষ হয়েছে খোঁজা...।“<br />হাসি হাসি মুখে দাঁড়াল ভজন, একেবারে বাবুর সামনে সোজা ।<br />“সহজে কী পাওয়া যায় বাবু, এই তো আপনার সেই মোজা ।“ <br />“দূর হতভাগা, মোজা কে খুঁজছে ? বলছি, কোথায় গানের খাতা ?”<br />দৌড়ে গিয়েই ফেরে ভজন । “বাবু, এই তো কাছেই ছিল ছাতা ।“<br />“হাতির মাথা, ব্যাঙের ছাতা । বলি, কোথায় রাখলি আমার কলম ?”<br />দেরাজ খুলে দেখায় ভজন, “বাবু এই যে আপনার দাদের মলম ।“<br />চটেমটে বাবুর গর্জন, “ দূর হয়ে যা পাজী, নচ্ছার, ইঁদুর, হতভাগা...।“ <br />পড়ি-কী-মরি হাতে পরে এল ভজন মা বিপত্তারিণীর তাগা । <br />ফের গর্জে উঠলেন বাবু, চোখের সামনে এখনও আছিস ? দূর হ যা যা ...”<br />ভজন ছুটল রান্নাঘরে, “বাবু দিয়েছি তো, ভেবেছিলেন, দইয়ে দিইনি সাজা !”<br />বাবুর মাথায় হাত । বলেন, “বাবা, ভজন, এবার আমাকে মুক্তি দে বাছা ...”<br />ভজন বলে, “ কী বলছেন বাবু ! মাথা ধরেছে। আর আমি করে দেব না চা !”</p>@ 2024 - শ্রীরঞ্জি আরতিশঙ্করhttps://www.bangla-kobita.com/ranjit2410/post20150919083623/কৃত্তিবাস ওঝার অপ্রকাশিত শ্লোক2015-09-19T08:37:26-04:002023-06-25T23:27:57-04:00শ্রীরঞ্জি আরতিশঙ্করhttps://www.bangla-kobita.com/ranjit2410/<p>কাল রাতে ঝুপ করে আলো চলে গেল । সারা পাড়া অন্ধকার । অগত্যা লেখা-লেখির অপ-প্রচেষ্টা ছেড়ে শুয়ে পড়লাম । <br />ঘুমিয়ে পড়েছিলাম, না জেগেছিলাম তখন যেমন বুঝিনি, এখও মনে ধন্দ আছে । ঘুমটা ভেঙে গেল । ঘরে ছড়িয়ে আছে মায়াবী নীলাভ আলো । সেই আলোয় দেখলাম একজন উত্তরীয়তে নাক চেপে দাঁড়িয়ে আছেন । <br />বললেন, ভোঁস ভোঁস,<br /> কী করে ঘুমোস ? <br />মনে হল ঘুমোনোটা ওনার মতে দোষ । <br />একজন অপরিচিত মানুষ আলাপ পরিচয়ের আগেই যদি অভিযোগ করে বসেন, রাগ না হলেও ক্ষোভ করার অধিকার মনে হয় আছে । আমার মনে অসন্তোষ । <br />আমাকে চুপ করে থাকতে দেখে বললেন, চারদিকে মঁ মঁ করছে দুর্গন্ধ । নাকে লাগতেই বুঝলাম এ কাব্য-পচা গন্ধ ।<br />--কাব্য-পচা ?<br />--হুম তার সঙ্গে পচেছে অর্থালঙ্কার, শব্দালঙ্কার, ছন্দ । দুর্গন্ধে মাথাটা ঘুরে গেল । এদিক দিয়েই যাচ্ছিলাম ।<br />দুর্গন্ধটা তোর ঘর থেকে আসছে, কৌতূহলে তাই নেমে এলাম । <br />আমি তখন ভ্যাবলাকান্ত । বললাম, কোনও দুর্গন্ধ তো পাচ্ছি না । আপনই বা কে ? কিছু তো যাচ্ছে না বোঝা ?<br />উনি বললেন, আমি কৃত্তিবাস ওঝা ? <br />--ও নামে তো কাউকে চিনি না । কোন কৃত্তিবাস ?<br />--হা হতোস্মি ! নিজের মুখে নিজের পরিচয় দিতে হচ্ছে । আরে শ্রীরামের পাঁচালীকার, ফুলিয়া নিবাস । <br />আমি তো অবাক । <br />বললেন, অকবির কাব্য-রোগ, তাই দুর্বাচকযোগ ; <br />বুঝলাম যথার্থ অভিযোগ । <br />বললাম, স্যার, আমার কী সৌভাগ্য । আপনাকে পেয়েছি বলেই খুব জানতে ইচ্ছে করছে, এমন কী শ্লোক লিখেছিলেন যে গৌড়েশ্বর একেবারে ফিদা হয়ে গেলেন ? <br />--তুই যা বললি তার মধ্যে দুটো শব্দ যে আমি কৃত্তিবাস, সেই আমিও বুঝলাম না । ওই “স্যার” আর “ফিদা” ।<br />স্যার মানে কী ষণ্ড ? আর ফিদা কী “ফিদবি”র সংক্ষিপ্ত রূপ ?<br />ফিদবির মানে বুঝতে পারিনি আমি যথারীতি চুপ । <br />উনি আবার বললেন, সম্মানীয় অতিথিকে ষণ্ড বলে ডাকা এখন বাংলার রীতি নাকি ?<br />আমি বললাম, না স্যার, ওই যাকে বলে ম্লেচ্ছ ভাষায়, স্যার মানে মহাশয় ।<br />--সেটা বললেই তো হয় ? আর ফিদা ? <br />--মুগ্ধ । আজকাল এটাই চলছে। বলতে বেশ সুবিধা । <br />উনি একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন, তা কী যেন জানতে চাইছিলি ?<br />--রাজসভায় এমন কী শ্লোক পাঠালেন যে গৌড়েশ্বর একেবারে ফি... মানে কূপোকাত ? ওই শ্লোকগুলি তো আজও কেউ জানে না । যদি বলেন তো আমার আসরের বন্ধুদের শোনাই । <br />-- বলতে আমার ইচ্ছে কী হয় ?<br /> তোদের যা স্বভাব আমার কথা অপছন্দ হলে বা না বুঝতে পারলে জুড়ে দিবি আরো কথা । কৃত্তিবাসী রামায়ণ আমার কিনা আমারই সংশয় । বলছি লিখে নে । একটি শব্দও যেন না হয় এধার-ওধার ।<br />--না না কী যে বলেন স্যার ? মানে মহাশয় । </p>
<br /><p>উনি আমাকে যে সাতটি শ্লোক বলেছিলেন আমি ঠিক সেই শ্লোকগুলিই আসরের বন্ধুদের পাঠের জন্য প্রকাশ্যে নিয়ে এলাম । <br /> <br /> সিদ্ধিদাতা নরপতি রাম-রাজ্য-কাল ।<br /> দনুজ-মর্দ্দন দেব পরম দয়াল ।। ১<br /> স্বয়ংসিদ্ধ জ্ঞানবৃদ্ধ ঋদ্ধ মহাশয় ।<br /> নরলোকে বরক্রতু প্রচ্ছন্ন নিশ্চয় ।। ২<br /> সিঙ্ঘেন্দ্রমধ্যম-রাগ রক্তিমা অপার ।<br /> চণ্ডী ধ্যান-জ্ঞান, চণ্ডীই সারাৎসার ।। ৩<br /> মহাবংশ পিতা হংস যবনের যম ।<br /> সুভগ গৌড়দেশ মহাসিন্ধু-সঙ্গম ।। ৪<br /> পুণ্যবান গৌড়েশ্বর ধন্য গৌড়জন<br /> দৃপ্ত তেজে অবলুপ্ত দানব গর্জ্জন ।। ৫<br /> কনক-কিরণ দিন দিনান্ত-বিহীন ।<br /> গৌড়ের শিখরে ধর্ম-কেতন উড্ডীন ।। ৬<br /> দেবানুগ্রহে দেহ বাগীশ্বরী আবাস ।<br /> মুখের কথাই শ্লোক কহে কৃত্তিবাস ।। ৭</p>@ 2024 - শ্রীরঞ্জি আরতিশঙ্করhttps://www.bangla-kobita.com/ranjit2410/post20150918043457/অদৃশ্য হওয়ার মন্ত্র2015-09-18T04:35:57-04:002023-06-27T19:37:08-04:00শ্রীরঞ্জি আরতিশঙ্করhttps://www.bangla-kobita.com/ranjit2410/<p>ওঁ হ্রীং ফট ফটায়ে ফট কট কটায়ে কটং<br />মড়ার কাঁথা ন্যাড়া মাথা শত ছিন্ন চটং ।।<br />গুহ্য কালী ভুসো কালি,চামুণ্ডা নৃমুণ্ডমালী <br />কাঠাকালি, ল্যাঙড়া মালী, সুড়ঙ্গ চোরাবালি ।।<br />মহামাংস জম্বুবংশ সুযোগমাত্র ভোজনম<br />কৃষ্ণমুখ দাস্যসুখে মা পশ্যতি স্বজনম ।।<br />কঙ্কাবতী উষ্ণ-অঙ্ক কঙ্ক-চঞ্চু কিম বঞ্চিতম<br />ঘট্ট অবঘট্ট পটং ব্রুয়াং অজ্ঞানধন সঞ্চিতম ।।<br />পত্নী প্রেত্নীব পতিং ক্রুং হুং ক্রীং ফটাসং <br />ফটঞ্চ ফট ফটাঞ্চং হৃং ছুছুন্দরী খটাসং ।<br />ঘ্রীদ্বিরেফ রেবঞং প্রুঙ্ক মনঞ্চং ক্রদ্রাঞ্চং<br />বীক্রঞ্চ জ্বন্রং হুং ব্রহ্মক্রুয়েন ট্টসনঞ্চং ।। </p>
<br /><p>দৃশ্যমান হওয়ার মন্ত্র ঃ<br />জম্রং ক্রম্ব্ং বম্বক্রুয়েনঞ্জজ্ঞ নঙদ্রিং বঙ্যাং তীম্রং<br />ঘ্রূধফারেবঞ্জ কপেজ্ঞড়্বান যদৃং দাংগ্রস্রং বীক্রং ।<br />লৃরুংকাভৃহ্রাত্থঃয যম্বন্বঞ্চ কৃগ্রসীঞ্জত্তচ্চাতৃপ্তবীত্রট্টং <br />যম্বদ্যগজ্ঞ কাদ্রীসাচুর্ত গ্রুং মগ্নীয়াড্রপ্তী হত্তীক্রং ।।</p>
<br /><p>পাঠক বৃন্দ/পাঠিকাবৃন্দা,(ললিতা, বিশাখা, চন্দ্রাবলী)<br /> জানিয়ে দিই, এই মন্ত্র আমার রচনা নয় । ৩১৫৩ বছর আগে আমার ১২৬তম পূর্ব-পুরুষ স্বামী শ্রীরঞ্জি অখণ্ডমণ্ডলোপোগণ্ডানন্দ এই মন্ত্র আবিষ্কার করেন । বংশানুক্রমে আমরা এই মন্ত্র-ধারা বহন করে চলেছি । অদৃশ্য হওয়ার এই গূঢ মন্ত্রটি এই প্রথমবার সাধারণের মধ্যে প্রকাশ করা হল । <br />আমাদের ওই পূর্ব-পুরুষ বলে গিয়েছিলেন, কোনও একজন বা দু’চার জনের কাছে যেন এই মন্ত্র-রহস্য ফাঁস করা না হয় । যেদিন সারা পৃথিবীর সমস্ত মানুষকে একসঙ্গে এই মন্ত্র দেবার উপায় আবিষ্কৃত হবে সেই দিন বলা যেতে পারে । আমার পূর্ব-পুরুষদের আন্তরিক ইচ্ছে থাকলেও মন্ত্রটি দিয়ে যেতে পারেননি । এই অধম অন্তর্জালের সুযোগ পাওয়ায় জন-স্বার্থে মন্ত্রটি প্রচার করল ।<br /> অদৃশ্য হওয়ার জন্য যেমন এই মন্ত্রটি অপরিহার্য তেমনই আরো অতি সহজ ১০টি ধাপ বা শর্ত পালন করতে হয় । সেই সহজ শর্তগুলি বলে দিই : </p>
<br /><p>১) প্রথমে ১০১১০৮ বার নির্ভুল উচ্চারণে মন্ত্রটি ফাঁকা মাঠে উদাত্ত গলায় আবৃত্তি করতে হবে । কোথাও ভুল হলে প্রথম থেকে আবৃত্তি অবশ্য-কর্তব্য ।<br />২) বাদামী তিক্তালাবু, রক্তদেবমালিনী, মহাশ্বেত ব্রহ্মবিল্ব, কৃষ্ণাহরিৎ পটোল, প্রেত চম্পালু, পাতাল টেউড়, গুঢ জম্বুরা, রাখালশশা, কটুরোহিণী, যমকোষাতকী, দেবনিম্ব ও মেঘলাঞ্ছনী –এই ১২টি গাছের বীজ সমপরিমাণ মিশিয়ে পূর্বাস্য হয়ে পশ্চিম দিকে দু’টি পা ঘাড়ে তুলে চূর্ণ করে নিতে হবে । <br />৩) ওই চূর্ণ বীজের সঙ্গে তিন রতি পরিমাণ কঙ্ক পক্ষীমল, ১০৮ দিন বয়সী কস্তূরী মৃগের তিন রতি পরিমাণ মূত্র, একটি নারী ভোঁদড়ের নাশা-রন্ধ্রের তিন রতি পরিমাণ ঘাম মিশিয়ে একুশ বার পূর্ণ গ্রাস সূর্যের আলোয় রেখে শুকিয়ে নিতে হবে । <br />৪) পরের স্তর হল ইন্দ্রশাল ও ব্রহ্মশাল কাঠের ঘানিতে তৈল নিষ্কাশন । নিষ্কাশিত তেলের নাম অবমৃষ্ট তৈল ।<br />৫) এবার রাম বিছুটি, সীতাকর্ণিকা, শিবদ্রুম, ব্রহ্মলাঙ্গল, দুর্গাচিরাঞ্জি গাছের মূল, বাকল, পাতা, ফুল সম পরিমাণে মিশিয়ে কাত্থ তৈরি করে বজ্রাঘাতে মৃত ১১১ বছরের এক বৃহন্নলার চিতাভস্মের সঙ্গে মিশ্রিত করা একান্ত কর্তব্য । <br />৬) আবার ওই মিশ্রণ থেকে ইন্দ্রশাল ও ব্রহ্মশাল কাঠের ঘানিতে তৈল নিষ্কাশন । এই তেলের নাম অপান্ধনী তৈল । <br />৭) এবার চোখ বন্ধ করে ভূতচতুর্দশী অমাবস্যার রাত সমপরিমাণ অবমৃষ্ট তৈল ও অপান্ধনী তৈলর মিশ্রণ ।<br />এতটুকু কম বা বেশি হলে ভয়ংকর সর্বনাশ হয়ে যেতে পারে । অতি সাধানতা অবলম্বন আবশ্যক । ওই মিশ্রিত তেলের নাম প্রাগাপ্রেরণ তৈল । <br />৮) এক পোয়া অবমৃষ্ট তেল বাম কানে, এক পোয়া অপান্ধনী তেল ডান কানে ঢেলে, প্রাগাপ্রেরণ তেল নাকে শুঁকে ১০৮ বার হাঁচতে হবে । <br />৯) কালো ডহন-নাগরা চাল শ্মশান চুল্লীতে ফুটিয়ে ভাত রান্না করে কপাল-কটকী ও নিম্ব-ঘণ্টী ফল উক্ত তেলে ভেজে পেট ভরে খেতে হবে । <br />১০) খাওয়ার পর কেশ বিমোচন । নিজের হাতে শরীরের প্রত্যেকটি কেশ সযত্নে তুলে ফেলতে হবে । তারপর ওই মন্ত্র স্নান-পর্ব । জলে ডুব দেবার আগে, জলে ডুবে ও দুব ভিয়ে উঠে উক্ত মন্ত্র নির্ভুল উচ্চারণে ১০৮বার আবৃত্তি করতে হবে । <br />১১) এই প্রক্রিয়া শেষ হলে ওই অবমৃষ্ট তৈল, অপান্ধনী তৈল ও প্রাগাপ্রেরণ তৈল সমপরিমাণে মিশিয়ে গায়ে মাখলেই অদৃশ্য হওয়া যাবে । <br />দৃশ্যমান হওয়ার মন্ত্রও বলে দেওয়া আছে ।</p>@ 2024 - শ্রীরঞ্জি আরতিশঙ্করhttps://www.bangla-kobita.com/ranjit2410/post20150917021657/মনসামঙ্গল2015-09-17T03:00:27-04:002023-06-25T23:27:55-04:00শ্রীরঞ্জি আরতিশঙ্করhttps://www.bangla-kobita.com/ranjit2410/<p>বন্দি গো বাসুকীমাতা, বন্দি বিষহর ।<br />বন্দি গো ফরিদ খাঁন বন্দি গৌড়েশ্বর ।।<br />এক মন হঁঞ্যা হেথা গাহিব মঙ্গল ।<br />ধুতি, তুতি পুঁতি বিনে জনম বিফল।।<br />সুন এবে এক মন হরিহর রায় ।<br />বেনিয়া কোঙার কতি কী হেন গোঙায় ।।<br />জওদিপে দিঙি গেলা ছামুদ উতাল ।<br />পঅন পো কোধি পাল আউলবাল ।। <br />গড়াঞি গড়াঞি দাঁড়ি আগুলায় কাঁতি ।<br />ধনপতি চিন্ত মনে সব হল্য ফাঁতি ।।<br />সুন বেনিয়া পোগণ্ড বিষহরী কন ।<br />একমন হঞ্যা এবে করহ বন্দন ।।<br />ধনপতি গোঙাঞি বন্দিল মহেশ্বর ।<br />মঙ্গল ভনে শ্রীরঞ্জি আরতিশঙ্কর ।।</p>
<br /><p> (রচনা কাল : ১৬৩৯ শকাব্দ )</p>@ 2024 - শ্রীরঞ্জি আরতিশঙ্করhttps://www.bangla-kobita.com/ranjit2410/post20150916020247/নীলকান্তি ঝড়2015-09-16T02:04:36-04:002023-06-25T23:27:55-04:00শ্রীরঞ্জি আরতিশঙ্করhttps://www.bangla-kobita.com/ranjit2410/<p>মাঠের শেষে ঝরনা ।<br />ঝরনার ধারে ধারে কুরুবক ফুলের বন।</p>
<br /><p>মাঝরাতে চাঁদের আলোর সাথে পাল্লা দিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে বুনোফুলের গন্ধ ;<br />মাঠে কারা যেন গোল হয়ে বসে আছে ।<br />গিয়ে দেখি ধবধবে সাদা কাপড়ে ঢাকা শব ;<br />আর শব ঘিরে কী একটা ঘোরে দুলে চলেছে কদাকার কিছু লোক । </p>
<br /><p>দমকা হাওয়ায় সরে যায় শবের চাদর,---</p>
<br /><p>এ কী ! এ তো......<br />লোকটা যে আমার খুবই চেনা...<br /> আয়নার সামনে দাঁড়ালেই প্রতিদিন দেখি ;</p>
<br /><p>হঠাৎ মাথার মধ্যে বয়ে যায় তীব্র গতিশীল নীলকান্তি ঝড়... <br />কালো হয়ে আসে চাঁদ ;<br />মাঠে কেউ নেই । <br />ঝরনা-পারে নীলাভ ঝোপ-ঝাড়, ঘুমন্ত গ্রাম ; <br />তাকিয়ে দেখি, একটা ধবধবে সাদা চাদর হাওয়ায় ভাসতে ভাসতে ভাসতে ......<br />জ্যোৎস্নার কুরুবক বন, কলধ্বনিমুখরিত ঝরনা পার হয়ে যাচ্ছে ...</p>@ 2024 - শ্রীরঞ্জি আরতিশঙ্করhttps://www.bangla-kobita.com/ranjit2410/post20150915020224/বর্ণান্ধ2015-09-15T02:03:34-04:002023-06-25T23:27:55-04:00শ্রীরঞ্জি আরতিশঙ্করhttps://www.bangla-kobita.com/ranjit2410/<p>ভালোবাসার রং কী মশাই ?<br />যে বাসে দেখে না সে, <br /> যে বাসেনি, দেখেনি সেও... <br />আমি আজন্ম বর্ণান্ধজন <br /> কী দুঃসাহস !<br /> বসে আছি দেখার আশায়...</p>@ 2024 - শ্রীরঞ্জি আরতিশঙ্করhttps://www.bangla-kobita.com/ranjit2410/post20150914015106/অভিশপ্ত2015-09-14T01:52:44-04:002023-06-25T23:27:55-04:00শ্রীরঞ্জি আরতিশঙ্করhttps://www.bangla-kobita.com/ranjit2410/<p>এমন কী স্নানের সময় জলের কাছেও<br />গোপন করেছি সংক্রামক মহারোগ ; <br />প্রতিবেশী-বন্ধুদের সম্মুখে কোনও দিন<br />সংকোচ-বশত উন্মুদ্র করিনি করতল । <br />প্রখর আলোর নীচে কখনও দাঁড়াইনি ত্রস্ত,<br />সুনিশ্চিত জানি যে ঐ তীব্র উজ্জ্বল <br />আলো চিনে নেবে, ঠিক আমার মুখশ্রীর<br />গুপ্ত রেখাগুলির ঘনাতিঘন তমসা-সংযোগ...</p>
<br /><p>বৃক্ষেরা ভেবেছে আমি সহজ লোক, ভালো... <br />নিশ্চিন্তে তাই শ্যামশ্রী মঞ্জরি পাঠায়--<br />নিদারুণ উত্তপ্ত, কিরণ-বিকিরণ অক্ষম ; <br />অভিশপ, স্পর্শমাত্র সমস্ত জ্বলে-পুড়ে ছাই...</p>@ 2024 - শ্রীরঞ্জি আরতিশঙ্করhttps://www.bangla-kobita.com/ranjit2410/post20150913023230/ব্যবধান2015-09-13T02:33:47-04:002023-06-25T23:27:52-04:00শ্রীরঞ্জি আরতিশঙ্করhttps://www.bangla-kobita.com/ranjit2410/<p>পাশাপাশি দু’টি পথ<br /> সমান্তরাল ...<br />আমরা দু’জন পথিক,</p>
<br /><p>ছায়ানীলসন্ধ্যা ;<br /> আরক্তিম সকাল।</p>@ 2024 - শ্রীরঞ্জি আরতিশঙ্করhttps://www.bangla-kobita.com/ranjit2410/post20150912043304/কাক-তাড়ুয়া2015-09-12T04:34:12-04:002023-06-27T03:29:49-04:00শ্রীরঞ্জি আরতিশঙ্করhttps://www.bangla-kobita.com/ranjit2410/<p>শস্যভরা মাঠ, হলুদ হয়ে আছে রোদ্দুরে ; <br />কারা যেন আমার খড়ের তৈরি শরীরে <br />পরিয়ে দিয়েছে চক্কর-বক্কর জামা ; <br />মাথার জায়গায় ভুসো-মাখানো হাঁড়ি,<br />হাঁড়িতে আঁকা চোখ, মুখ, নাক...<br />কঞ্চির তৈরি হাতে একটা খাগের কলম ;<br />ঝাঁকে ঝাঁকে আসছে চড়াই, ফিঙে, ডোমকাক...<br />আর ডানায় হাসির ঢেউ তুলে উড়ে যাচ্ছে ;<br />ঋতুর পর ঋতু-সংহার পড়তে পড়তে<br />সেজে-গুজে চলেছে পথিকদল...জুড়ি-গাড়ি...<br />আর আমি সাজিয়ে সাজিয়ে চলেছি <br />হেমশ্যামানন্দীকল্যাণবর্ণ-অপবর্ণমালা-শব্দ-অক্ষর ... </p>
<br /><p> আমার কবি জন্মের রূপান্তর ।</p>@ 2024 - শ্রীরঞ্জি আরতিশঙ্করhttps://www.bangla-kobita.com/ranjit2410/post20150911020218/অবৈধ সম্পর্ক2015-09-11T02:03:36-04:002023-06-25T23:27:52-04:00শ্রীরঞ্জি আরতিশঙ্করhttps://www.bangla-kobita.com/ranjit2410/<p>খড় আর আগুন, <br /> আগুন আর খড় ;<br />এমন নয় যে দু’জনের কাছাকাছি ঘর,<br />কী করে যে প্রেম হল ! <br /> দেখল সব্বাই...<br />মিলন-লগ্ন শেষে, <br /> পড়ে আছে ছাই...</p>@ 2024 - শ্রীরঞ্জি আরতিশঙ্করhttps://www.bangla-kobita.com/ranjit2410/post20150910013225/ভ্রষ্ট2015-09-10T01:34:36-04:002023-06-25T23:27:52-04:00শ্রীরঞ্জি আরতিশঙ্করhttps://www.bangla-kobita.com/ranjit2410/<p>না ছোঁবে না, <br /> না না ছোঁবে না<br />নাহ, রেখো না এ হাতের পাতায়<br /> কিংশুকরঙিন ওই হাত ;<br />আমি প্রেতাগ্নি, <br /> বুভুক্ষু তৃষ্ণা-গহ্বর,<br /> মৃতকিরণশিখর ;<br /> আদিম অনন্ত রাত ......</p>@ 2024 - শ্রীরঞ্জি আরতিশঙ্করhttps://www.bangla-kobita.com/ranjit2410/post20150909012629/চতুষ্কি ২2015-09-09T01:28:57-04:002023-06-25T23:27:51-04:00শ্রীরঞ্জি আরতিশঙ্করhttps://www.bangla-kobita.com/ranjit2410/<p>১<br />একবার গ্রীষ্মপুরুষ মাথা থেকে ঝুড়িটি নামাও,<br />ছায়াশ্রিত ঘটনাবিহীন দিনেরা এসো, দাও তুলে দাও <br />যার যা আছে খড়কুটো, ধুলো, শুকনো ফুল, মরা ডালপালা---<br />আর আজন্ম সঞ্চিত বারুদ, মোম, তেল, ধুনো গালা...... <br />২<br />বালিঝড় শন শন শন শন <br />শ্রাবণদিনের গল্প করছে তটিনী আর কেতকীবন <br />শ্রোতা মৃত্যু-রঙিন আলো আর ভেঙে পড়া ছই<br />স্বয়ং লেখা হচ্ছে, মুছেও যাচ্ছে বই । <br />৩<br />চিতাবুড়ি রান্না করেনা, লোধ্রকুসুম গাছের তলায় বসে থাকে <br />চুলে মাখে সূর্যাশ্মতেল আর চোখে আনন্দচন্দ্রছায়াঞ্জন<br />শূন্যলাবণ্য অঙ্গে রম্যাগ্নীশ পুষ্প-পরিমল ; কী খায় ? পশ্চিমে যারা যায়, <br />তাদের ছায়া, দিনের রস-রক্ত-স্বেদ, রাতে স্মরণান্ধকার জল । <br />৪<br />কামারশালায় পড়ে ছিল ঠাণ্ডা লোহার লাস<br />হাপ রে ফুঃ হিল্লোলিনী ষড়ঙ্গিনী বাতাস ;<br />অগ্নিস্পর্শে দাঁড়ায় লাস, সটান বেরিয়ে পড়ে<br />সমস্ত দিন পাড়ায় পাড়ায় আগুন বিক্রি করে ।</p>@ 2024 - শ্রীরঞ্জি আরতিশঙ্করhttps://www.bangla-kobita.com/ranjit2410/post20150908015200/যমের অরুচি2015-09-08T01:53:17-04:002023-06-25T23:27:51-04:00শ্রীরঞ্জি আরতিশঙ্করhttps://www.bangla-kobita.com/ranjit2410/<p>কী অপরিসীম স্বচ্ছতা, কী তলাতলহীন পারহীন পবিত্র জল,<br />ঝাঁপিয়ে পড়ার আগে, খুলে রাখি তীরে, কীটদষ্ট ছিন্ন বল্কল <br />সর্বাঙ্গ কর্দমাক্ত, রক্ত-লাঞ্ছিত দু’হাত। বিষ্ঠা, দুর্গন্ধ, নুন, ঘাম......<br />দাঁতে মাংসের কুচি, আঙ্গুলে রত্নাঙ্গুরীয় চৌর্য-শঠতা-বৃত্তি । পরিণাম<br />সংস্কার ভয়, শীতভয়, পাপভয় । স্পর্শ করব ওই দিব্য তনুরুচি ?<br />কিরণ সহাস্যে বলে, “তুই নির্বাপন, অঙ্গার, হিমবৃত্ত, যমের অরুচি......</p>@ 2024 - শ্রীরঞ্জি আরতিশঙ্করhttps://www.bangla-kobita.com/ranjit2410/post20150907015159/বাবু আমি আবু হোসেন2015-09-07T01:54:51-04:002023-06-25T23:27:51-04:00শ্রীরঞ্জি আরতিশঙ্করhttps://www.bangla-kobita.com/ranjit2410/<p>কী ঘন নীল লতাগুল্ম<br />রুপোর নদী আঁকাবাঁকা,<br />বাবু আমি আবু হোসেন<br />মস্ত ধনী কোঁচড় ফাঁকা ;<br />বাদশাহ যে আছেন, আছে<br />দরবারটি জমজমাট<br />তারাচক্র গড়িয়ে যায়<br />ধুলোয় ঢাকা জগৎ-মাঠ ।<br />যে ক’টা দিন থাকি, থাকুক<br />আকাশ জুড়ে ইন্দীবর<br />নীলকান্ত চলেন, চলি<br />রাহী আমি বন্দী কর ।<br />গড়িয়ে জল নামল, নামি<br />রহস্যময় রুপো ধারায় <br />অসামান্য এ দৃশ্যটিতে <br />ছায়া-পথিক ফিরে দাঁড়ায় ।<br />বাদশাহও মজেন, মজা<br />দেখতে আসেন তটরেখায় ;<br />হুঁ হুঁ আমি সে বান্দা কী <br />বাদশাহকে সাঁতার শেখাই !<br />সবই ওনার জানা, জানেন<br />এমন কী ঐ সরস্বতী <br />শখে শেখার শখ, শেখাই<br />আমার কী আর সে দুর্মতি !<br />যখন আমি মরছি, মরে<br />কাঙাল যেমন অণ্ণকূটে<br />জাঁহাপনাই সবার আগে <br />মরণ দেখতে এলেন ছুটে ;<br />জাঁহাপনা ছুটেন, ছুটি<br />আমিও মহামৃত্যু কাঁধে<br />বাবু আমি আবু হোসেন<br />ধারাজ্ঞানের অপরাধে ।</p>@ 2024 - শ্রীরঞ্জি আরতিশঙ্করhttps://www.bangla-kobita.com/ranjit2410/post20150906035329/বেচারা শ্রাবণনীল কবি ও চতুষ্কি ১2015-09-06T03:55:43-04:002023-06-25T23:27:51-04:00শ্রীরঞ্জি আরতিশঙ্করhttps://www.bangla-kobita.com/ranjit2410/<p>বেচারা শ্রাবণনীল কবি </p>
<br /><p>মেঘ জমে ;<br />আয়োজন-আড়ম্বরের ঘাটতি নেই <br />কিন্তু বাজে না রিণিঝিনি ;<br />তক্কে তক্কে থেকে ... <br />ঠিক হল্লা পাকাতে আসে <br />বেরসিক ঝঞ্ঝাবাহিনী ...... <br />সম্পাদকীয় দপ্তর থেকে তাগাদা ;<br />আহা বেচারা শ্রাবণনীল কবি ;<br />প্রথম অধ্যায়ের পর <br />আর এগোয় না বৃষ্টিধারাকাহিনি । </p>
<br /><p>চতুষ্কি ১<br />১<br />দাড়ি চিহ্নের পর বিস্তৃত হয়ে থাকল অনন্ত নীল শূন্যতা <br />সম্ভাবনা নিয়ে মাথা ঘামাতে রাজী নয় অক্ষরজীবী<br />তাহলে প্রথানুসারী কলসের কানা অবধি পূর্ণতার সীমা !<br />তরঙ্গ-ছন্দ তুলে দ্বিধা-বিভক্ত পারতন্ত্র্যকামী জলের শিবির । <br />২<br />শব্দকে ঘিরে থাকে এক অলৌকিক মন্দারবর্ণাভা <br />সেই আভা বুকে ছড়িয়ে থাকে যার<br />সে জানে, কোনও প্রয়োজন নেই <br />কল্পনাক্রিয়াঙ্গিকে অনর্থক কবিতা লেখার <br />৩<br />শূন্যতা পূর্ণ যৌবনবতী, মধ্বাসবজ ঘোর প্ররোচনা <br />হিতাহিতলুপ্তজ্ঞান ; উপগত হই শূন্যতায় <br />আহা আনন্দছন্দসুখরতিসারাৎসার <br />কাব্যপ্রতিমারূপা বিকলাঙ্গ সন্তান জন্মায় <br />৪<br /> অনর্থে ব্যাদড়া উপগম, আত্মতৃপ্তিপঞ্চরঙ্গব্যভিচার<br />সুকুমারী তণ্বী শব্দ রূপারূপাতীত ; অজ্ঞান তামসী আচার <br />অধরা ছন্দমাধুরীদোলজোৎস্নাকুহক কৌমার্য-ভঙ্গ <br />অষ্টাবক্র সন্তানধারায় কলহংসকিঙ্কিনী কাব্য-সংসার ।</p>@ 2024 - শ্রীরঞ্জি আরতিশঙ্করhttps://www.bangla-kobita.com/ranjit2410/post20150905022043/কেন ডাকব তোমাকে2015-09-05T02:23:06-04:002023-06-25T23:27:49-04:00শ্রীরঞ্জি আরতিশঙ্করhttps://www.bangla-kobita.com/ranjit2410/<p>দিনের বেলায় আমাকে ডেকেছ আলো <br />রাতের বেলা ডেকেছ তমসা বলে,<br />ঝড়ের মেঘে কী নামে ডাকবে বলো ? <br />কী নামে ডাকবে শ্রাবণের ধারাজলে ?<br />স্রোতের মুখে ভাসিয়ে দিয়েছ আমায়, <br />বাতাসে লিখেছ ভাসান-বর্ণমালা,<br />পাঠ করব কী ! পুলকে মূর্চ্ছা যাই, <br />মূর্চ্ছার রঙে তোমার সুগন্ধ ঢালা...</p>
<br /><p>আমাকে ভেঙেছ সামাজিক রীতি মেনে, <br />পাথর-জন্মে আঘাতের তলে তলে<br />সাহস কী দেখাও দুর্বলতা জেনে ? <br />কী খোঁজ বলো না ভেঙে ফেলবার ছলে ?<br />আমাকে দেখালে তোমার কত কী আছে <br />পরিখায় ঘেরা সে রতন–ভাণ্ডার...<br />ওপারে ঝুঁকেছে যে শাখা তেমন গাছে, <br />সকালে চড়েছি ছায়া নামে সন্ধ্যার ।<br /> <br />আলো মুছে গেল ওপারে জ্বলছে মায়া, <br />কী হয় না হয় সে বোধ লুপ্ত হয়,-<br />এ পারে যে ছায়া ও পারেও সেই ছায়া, <br />ঝাঁপিয়ে পড়েছি বাঁচবার কথা নয় <br />পরিখা গভীর পরিখা, নামছি নীচে, <br />পালকে লাগছে বাতাসের অনুরাগ <br />তমস্বিনী-ধারা বর্ষণে যাই ভিজে <br />মন্ত্র শোনালে লাগ ভেল্কি লাগ...।<br /> <br />পতনে কী সুখ বুঝেছি, পতন শীল ; <br />গায়ে কাঁটা দিল, প্রথম মরণ বলে <br />যন্ত্রনা এখানে সুরভিত ঘন নীল ... <br />দুটি পা পাথর রক্তপ ওঠে জ্বলে<br />তোমার কী নাম বলে না গাছের শাখা ; <br />শুধু ঝিকিমিকি সহাস্য সারাদিন...<br />জেনেছি এখন কী কী নামে যায় ডাকা <br />কেন ডাকব ? তোমাকে হে অন্তহীন ?</p>@ 2024 - শ্রীরঞ্জি আরতিশঙ্করhttps://www.bangla-kobita.com/ranjit2410/post20150904022109/তারল্যবোধাতীতজ্ঞান2015-09-04T02:22:35-04:002023-06-25T23:27:49-04:00শ্রীরঞ্জি আরতিশঙ্করhttps://www.bangla-kobita.com/ranjit2410/<p>বোঝাতে বোঝাতে স্বয়ং অবোধ্যতার কূপের তলায় নামি<br />জল আছে, আলো নেই, তল নেই, বিশ্রামের অবকাশ নেই<br />তলায়, আরও তলাই, তলিয়ে যেতে যেতে যেতে যেতে ...<br />দেখি, বদলে বদলে যায় ঘনান্ধকার এবং জলের প্রকৃতি<br />আমারও ঘটে যায় রূপান্তর, অদ্ভুত আদি জলজ সরীসৃপ,<br />অন্ধকার যার আলো, জল যার সহজ, তারল্যবোধাতীতজ্ঞান<br />অজ্ঞান-গভীরতা-ভেদী স্বাভাবিক গতিক্রিয়া ;<br />কর্তা লেজে খেলে, স্বয়ংসম্পূর্ণ উদ্দেশ্য-নিয়ন্ত্রিত বোধি...</p>@ 2024 - শ্রীরঞ্জি আরতিশঙ্করhttps://www.bangla-kobita.com/ranjit2410/post20150903014856/অনেকেই স্বচক্ষে দেখেছে2015-09-03T01:52:24-04:002023-06-25T23:27:47-04:00শ্রীরঞ্জি আরতিশঙ্করhttps://www.bangla-kobita.com/ranjit2410/<p>আমার ছিন্ন মুণ্ডটি পড়ে ফাঁকা মাঠে<br />চোখ খোলা ; দেখা এখনও ঢের বাকী ;<br />মুখ খোলা ; গ্রীষ্মের প্রেত তৃষ্ণায় বুক ফাটে ;<br />কাটা দুটি হাত দাঁড়, পারে যাওয়াও বাকি,---- <br />ছিন্ন দুটি পা, পথে পথান্তরে শুধু হাঁটে...<br />পথের শেষ প্রান্তে তার পৌঁছনোও বাকি ......<br />অনেকেই স্বচক্ষে দেখেছে, হাওয়ায় রটে<br />জোৎস্নারাতে দীপাদের গিরিমল্লিকাগাছে<br />রক্তাক্ত হৃৎপিণ্ডটি দোল খায় নাকি !</p>@ 2024 - শ্রীরঞ্জি আরতিশঙ্করhttps://www.bangla-kobita.com/ranjit2410/post20150902044728/অব্যর্থ ম্রক্ষণ ।2015-09-02T05:12:33-04:002023-06-27T07:59:37-04:00শ্রীরঞ্জি আরতিশঙ্করhttps://www.bangla-kobita.com/ranjit2410/<p>বা রে ! তোমার কথাই ভাবতে হবে কেন সারাক্ষণ ?<br /> তাচ্ছিল্য মাড়িয়ে মাড়িয়ে যাওয়া, রাগ হয়, না কৌতুক ?<br /> সে কী আর জানি না, তুমি অবস্তুতত্ত্বজ্ঞানী কালানুভাবুক ;<br /> পরিণামে তো রতিরঙ্গসুখসার অপ্রতিরোধ্য অব্যর্থ ম্রক্ষণ ।</p>@ 2024 - শ্রীরঞ্জি আরতিশঙ্করhttps://www.bangla-kobita.com/ranjit2410/post20150901114751/বরং2015-09-01T11:50:54-04:002023-06-25T23:27:47-04:00শ্রীরঞ্জি আরতিশঙ্করhttps://www.bangla-kobita.com/ranjit2410/<p>বয়ে চলেছ খেয়াল-খুশির অনর্থক ধার<br />এই শব্দতটরেখা থেকে ওই শব্দতটরেখায়<br />পৌঁছে দেবার জন্য কিন্তু বানিয়ে দিতে পারব না,<br /> যেমন তেমন কোনও সাঁকো…<br /> ডিঙি একটা বেঁধে রেখেছি ঘাটে<br /> খরস্রোতায় উলটে গিয়ে তলিয়ে যেতে পারে...<br /> বরং ঝাঁপ দিয়ে পড়ো, <br /> স্রোতের মুখে সাঁতার দিতে থাকো ...</p>@ 2024 - শ্রীরঞ্জি আরতিশঙ্করhttps://www.bangla-kobita.com/ranjit2410/post20150831044104/মহাকালের খাতা2015-08-31T17:56:06-04:002023-06-25T23:27:47-04:00শ্রীরঞ্জি আরতিশঙ্করhttps://www.bangla-kobita.com/ranjit2410/<p>ওহঃ কী সৌভাগ্য ! না ছিল চুলো, না চাল<br /> দেখো, সেই কিনা আজ মহাশক্তির কংকাল !<br /> জগন্মাতার লাবণ্য-প্রভার অন্তরালে থাকি<br /> খড়জন্ম কে বলে তুচ্ছ, আগুন বোঝেটা কী ?<br /> কুটো বলে সযৌক্তিক বাপু অর্থান্তরন্যাস<br /> আত্মশ্লাঘা পাপ, হীনমন্যতা বদ-অভ্যাস<br /> যখনই দন্তধৃত আমি গূঢ় শব্দার্থ-বিস্তার<br /> তা’হলে গুরুত্ব কম ? না থাকুক ভার ।<br /> ‘ধু’ বর্ণে ধারণা-ধারী সে তত্ত্ব অতি গভীর<br /> আদি কণা লয়-লালিত গতিবিদ্যা স্থির<br /> তাচ্ছিল্য-জাতক ভ্রান্তি, মহাকালের খাতা<br /> প্রাণযোগক্ষেমঙ্করী দাতা ও উদ্গাতা ।<br /> বালি অভিজাত ; গতিশক্তিক্রিয়াপারঙ্গম<br /> জন্মান্তরে রূপান্তর অস্বচ্ছতা ও অসংযম ।</p>@ 2024 - শ্রীরঞ্জি আরতিশঙ্কর