গদ্যকবিতা


আজ  ফুটপাতের ধারে চায়ের দোকানে
ক্যাফেইনে যখন নিজেকে সতেজ করছি
পাশ দিয়ে আট দশ বয়সের একটি মেয়ে হেঁটে যাচ্ছে
হাতে তার গোটা পাঁচেক কদম ফুল
আমি বিশ টাকা বল্লে,সে দিলো
পাশেই বসা এক ভদ্রলোক বলল
টাকা দিয়ে কেউ এগুলো নেয়,কি করবেন শুনি
আমি মাথা নেড়ে মুচকি হাসি দিয়ে বললাম
বড্ড ভালো লাগে তাই।
গলি দিয়ে হাটছি,হাতে গোটা পাঁচেক কদম ফুল
মনে পড়ে গেল শৈশবের কথা,বৃষ্টির কথা
কদম ফুল হাতে নিয়ে বৃষ্টতে ভেজার কথা
তখনো কদম ফুল ততটা প্রিয় হয়ে ওঠেনি,
যতটা আজ লাগে,যতটা হৃদয়ে দোল খেলে।


মনে পড়ে গেল সেদিনের সেই রেস্তরার কথা
জৈষ্ঠ্যর কাঠ ফাটা রোদ্দুরের কথা
দু'জনে হাটতে হাটতে যখন ক্লান্ত হয়ে পড়েছি
তখন হঠাৎ সেই বৃষ্টির কথা, পরে রেস্টুরেন্টে চায়ে চুমুক দিতে দিতে অন্যমনষ্ক হয়ে গেলে,
অনেক আবেগি হয়ে গেলে
প্রশ্ন করলে তোমার প্রিয় ফুলের কথা
আমি লজ্জায় লাল হয়ে তোমার দিকে তাকিয়ে ছিলাম
হঠাৎই অবাক করে দিয়ে বাইরে গেলে চলে বৃষ্টিতে ভিজে,
আমিও গেলাম তোমার পিছে পিছে
অভিমান ভাঙ্গানোর কথা বল্লে,শর্ত দিলে জুড়ে
তোমার পছন্দের কদম ফুল হাতে দিতে হবে তুলে।
আমি বল্লেম তাই হয় নাকি,অমৌসুমে
কোথা হতে দিব আনি।
তারপর কত আষাঢ় গেল, কত কদম ফুটিল
শুধু ভুলতে পারিনা আষাড়ের কথা,তোমার আমার প্রিয় কদম ফুল, তোমায় এনে দেয়ার কথা।
আর এভাবেই কদম ফুলটি আমার প্রিয় ফুল হলো।