বাংলার ক্যানভাসে বৈষম্যের তুলি দিয়ে আঁকে
নির্যাতিত-শোষণের একটি পড়ন্ত বিকেলের চিত্র
অত্যাচারের ধূসর রঙে ফুটে উঠে
মেঘে ঢাকা আকাশ-সবুজ পাতায় ঝরে
ডুবন্ত সূর্যের হলুদ কান্নার ম্রিয়মান আলো
বায়ান্নর বাকহীন দোয়েলের নির্বাক স্থির চিত্র।
বাংলার ক্যানভাসে -বায়ান্নর বিপ্লবী রক্তিম রক্তে
দোয়েলের সুর ফিরে,স্থির চিত্র হয়-চলচিত্রে
তারপর ঊনসত্তর - সত্তরের আলো অন্ধকার রাতে
বাংলার ক্যানভাসে জোছনা আলো ছিটিয়ে দেয়
একাত্তরে মার্চে এসে একটি বজ্রধ্বনির কম্পনে
বিচ্ছুরিত হয় - লক্ষ লক্ষ বিপ্লবী আলো
বাংলার ক্যানভাসে ফুটতে থাকে মুক্ত আকাশ।
ওরা ক্যানভাসে চলচিত্রের উপর গুলি চালায়
আবার তাকে স্থির করতে চায়, বৈষমের তুলিতে
বাংলার ক্যানভাসকে আবার আঁকতে চায়।
ওরা" জয় বাংলা" প্রতিধ্বনির উপর গুলি চালায়
প্রতিরোধের হাতুড়ি দিয়ে " জয় বাংলা" প্রতিধ্বনি
ওদের বুকের পাজর একে একে গুড়িয়ে দেয়।
"জয় বাংলা" প্রতিধ্বনির ত্রিশ লক্ষ রক্তের সাগরে
ওরা ডুবে মরে,ওরা মুছে যায় ক্যানভাসের চিত্রে।
১৬ই ডিসেম্বরে বাংলার ক্যানভাসে
মুক্ত সূর্যের আলোয় ফুটে উঠে স্বাধীনতার সবুজ ক্ষেত
দোয়েলেরা দিয়ে যায় বিজয়ের শিস।


এম এ রহমান
হাতিয়া,উলিপুর, কুড়িগ্রাম