কবিতার অলৌকিক ভাষা দেখি, কাব্যের
গভীরে নিজের কিছু
স্বীকৃতি আছে কিনা- সেসবও এখন
পাঠযোগ্য চিন্তা। এই স্মারকবেদী
ঘেরাও করে রাখিঃ 'চিরদিন তুমি যে আমার' শীর্ষক সিনেমার কথা মনে পড়ে।
আহ্লাদী, এইরূপ প্রশ্ন করো, বলো
আমাদের যা কিছু চলে গেছে, সেকাল
থেকে একালে ট্রান্সফার হয়ে আসা
ব্যক্তিগত কীবোর্ড, ধীরগতির
ইন্টারনেট সংযোগ, প্রান্তিক
কৃষকদের সহায়তায় ফলানো ধানের লে-আউট চোখে পড়ে?


বিবিধ উপাদানে সমৃদ্ধ - এই কথা বারবার লেখা হয়ে গেছে। বহু পুরাতন
আদিম ও প্রাগুক্ত তথ্যাদি
বিচার-বিশ্লেষণসমেত একটি কালোত্তীর্ণ
কি যে লিখি- হিজিবিজি, পাঠ করে
আনন্দ পাবার বদলে
আরো জঘন্য ঠেকে, ব্যাকগ্রাউন্ডে
কারা যেনো বিমূর্ত ক্রিস্টাল থুয়ে রেখেছে। শালারা।


তদা উপভোগ করি। লিখবার জন্যে উন্মুক্ত
যেহেতু রাখা আছে সব, যদিও বিরক্তিকর,
টেলিভিশন এবং ফিল্মের ফেক-ফালতু
ভেকধারী পড়াশোনা। কবিতার কাছে আসি।
জানাই প্রার্থনা, নামাজ, চড়-থাপ্পড়
প্রশ্ন করি- তোমাদের মতবিরোধ দিয়ে
আমার বাল ছেঁড়া যায়। চাইলে
দু'চারটি যৌন-বিকৃত শব্দ জুড়ে দেই- সিগারেট খাওয়া থেকে বিরত রাখি ব্রাজিলিয়ান ঘোড়াদের। ফলতঃ


নিজের ভাঁড়ারে অদ্ভুত সম্পাদনা হয় পঁয়ত্রিশ
মিলিমিটার। তাজ্জব মার্কা কাজকারবার
দেখে বুদ্ধ সেজে থাকি। অথচ
বাইরে বাড়তে থাকে পৃথিবীর তাপ
বিদ্যুৎ চুরি ছিনতাই হয়, না খেয়ে থাকা
মুগ্ধ রেকুনের


আশ্চর্য জাদুকরী খিদে জিভে-নখে।