কে গো তুমি?
সাত জলধীর তলদেশে বাস?
নাকি ময়ুর পঙ্খি ডানা মেলে সপ্ত নীলাকাশ!  


কে গো তুমি?
আগেতো দেখি নি ক্ষনচারিদ্বারে,
শতহরিৎ মেলিয়া চক্ষু- কে গো করানাড়ে?


কে গো তুমি?
মধ্য নিশিতে ইন্দ্রধনুর সোভা যাহার গায়
মানুষ নাকি অপস্বরা? বলবে কি আমায়?


কে গো তুমি?
উড়তে গীয়ে পুড়ে গেছে কি পেয়ে উল্কার হানা?
নাকি শাড়ির আড়ালে লুকানো তোমার ডানা?


কে গো তুমি?
নীল শাড়ি, ওমা! এতো লম্বা কাজল কালো কেশ?
জোৎস্নার আলয় ললাটের ঐ টিপ লাগছে অনেক বেশ।


কে গো তুমি?
নামটি বলবে কি? ওগো নন্দিনী কোন বা গ্রহবাসী
মন যে কেড়ে নিল, তোমারই রাঙা ঠোঁটের হাসি।


আমি রাইসা,
নইতো আমি অপস্বরা, নইতো কোন পরী
রাইসা নামেই ডাকতে পার, চন্ডালীতে বাড়ি।


আমি রাশেদ,
কথা হল চোখে চোখে,এবার হল মনের মিল
বিয়ে হল,সংসার হল, কাটছে ভালই দিন।


হঠাৎ করে কানে এলো-হাইয়া আলাস্ সালাহ্
ঘুম ভাঙল, রাইসা নেই, একি ভিষণ জ্বালা।


হেথায় খুঁজি সেথায় খুঁজি, খুঁজি সারা দেশে
বলতে পার, রাইসা আমার পাব কোথায় কিসে?


অনেক বছর পার হয়েছে, রাইসা মেলে না কভু
অপেক্ষাতে ঘুরছি পথে, মেলান যদি প্রভু।।।