শহর থেকে খানিক দুরে ছোট্ট একটি গ্রাম
সেই গ্রামেই জন্ম আমার,পাকিজাছড়ি তার নাম।
পূর্বপাড়ায় অথৈপানির মনকাড়া এক বিল,
সে ছিল এক শাপলা ফোটা রঙিন রঙের ঝিল।


চাচ্চু ফুপু আমায় নিয়ে নায়তে যেত সে ঘাটে,
দিনে দিনে শিখছি সাতার আমার ফুপুর বাটে।
রোজ বিকেলে দলে দলে হতাম পানির মাছ
শাপলা ফুলের মালায় আমায় করিয়ে দিত সাজ।


বিলের কাছারে পিছলা খেলার প্রত্যেহ এক ধারা,
নল ডুব খেলায় হাড়লে তখন শাস্তি ছিল কড়া।
ডুব সাতারে নাওয়া শেষ, শেষ ছোট্ট মনাদের ঘাটি,
ফিরছি বাড়ি মাথায় মোদের শাপলা শালুক আটি।


ঢেপের ভাত আর খইয়ের মজার দিনটি ছিল বেশ
শাপলা ডাটার তরকারীর স্বাধে কমতি ছিলো না রেশ।
ডিঙি নৌকায় চাচ্চু মাঝি, ফুপু ভাতিজারে বলে
সারা বিল ঘুরবো মোরা,আর হানাবো পদ্ম দলে।


নব্বই দশকের সেই গ্রামটি আছে, আছে সেই বিল,
নাইকো শুধু রমরমানো সেই শাপলা ফোটা ঝিল।
চাচ্চু ফুপু আগের মত নায়তে নেয় না মোরে ঘাটে,
স্বৃতির পাতা শুষ্ক ক্ষরা এখন এইনা মনের বাটে।