কোকিল ডাকে কুহু সূরে,
মনটি আমার যাচ্ছে উড়ে।
মনেতে আজ খুশির বাণ,
মহুয়া ফুলের মিষ্টি ঘ্রাণ।


দক্ষিনা হাওয়া দিচ্ছে তাল
ভাত ফুটাচ্ছে টিনের চাল।
চিংড়ি মাছ নদিতে ধরে
সিদ্ধ করে বালুর চরে,
খাচ্ছে রাখাল ভিজছে জলে
উঠছে বেড়ে শক্তি বলে।


শিমুল তলে পলাশের ঘ্রাণ
বাঁশের বাঁশির সুরেলা তান,
পঁচাই পাড়ার এক রুপসিনী
সে সুরে আজ মাতয়িনী।


নদির পাড়ে গরুর দলে
খাচ্ছে ঘাস আর নামছে জলে
দুপুর হলে ঝাপায় গরু
বস্তা বস্তা কাটছে তরু।


বরো ধানের কান্ডে পাতায়
ঘাসফড়িং দুলছে ঘাটায়
শালিকের ঝাক নামছে তাতে
ফড়িং খাচ্ছে লুটেপুটে।


সন্ধা হলো ভিড়াও গরুরপাল
পার হচ্ছে  চেঙি খাল।
ঘাসের বস্তা মাথায় করে
হাটছে তারা ফিরবে ঘরে।


শুক্রবার আর স্কুল বন্ধ হলে
এই ঘটনা নিত্য চলে।
নয় সে কেহ ঐ রাখাল মনা
সে যে রাশেদ সুরের কণা  ।