আমাকে রুখতে হলে
তোমার ভাঙতে হবে আমার কলম—
যে কলমে লেখা আছে লাল পতাকার প্রতিজ্ঞা,
যে কলমে রক্ত ঝরে জমিদারীর বিরুদ্ধে।
আমাকে রুখতে হলে
জ্বালিয়ে দিতে হবে আমার কণ্ঠস্বর,
যেখানে শব্দগুলো শাণিত অস্ত্র,
যারা কাঁপিয়ে তোলে রাজপ্রাসাদের বুকে ভয়।
আমাকে রুখতে হলে
গুড়িয়ে দিতে হবে শ্রমিকের ঘাম,
ধানক্ষেতে পাঁজরভাঙা কৃষকের স্বপ্ন,
অথবা বিদ্যুৎময় মিলের নারী শ্রমিকের চোখের শপথ।
আমি সেই বিদ্রোহী—
যে ঈশ্বরের নামে গড়া অন্ধ সভ্যতাকে প্রশ্ন করে,
যে বলে, “ভাত আগে, তারপর বিধান!”
যে চিৎকার করে, “মানুষ আগে, তারপর ধর্ম!”
আমাকে রুখতে হলে
দিতে হবে আগুন—
পৃথিবীর প্রতিটি বঞ্চিতের মুখে,
কারণ আমি তাদের কণ্ঠে জেগে উঠি,
আমি তাদের রক্তে লিখি বিপ্লব।
তুমি যদি সত্যিই আমাকে রুখতে চাও—
তবে রুখো জনতার ক্ষোভ,
রুখো সহস্র বছরের শোষণ,
রুখো বুকে জমে থাকা আগুন।
না রে, আমি একা নই—
আমার কলম একা নয়,
এটা লক্ষ মানুষের গর্জন,
যারা শিখে গেছে:
“যদি রুখতেই হয়, তবে শেষ দেখে ছাড়বো!”