শিশিরের এক ভেঁজা সকালে
আমি দাড়িয়েছিলাম রাস্তার ধারে-
তাকিয়েছিলাম বিশাল উন্মুক্ত আকাশে
শীতের সকালের চাঁদর ভেদ করে
কিছু শিশিরের শব্দ টুপ টাপ;
শীতের প্রচন্ড হিমেল হাওয়ায়
আমাদের গায়েও তখন-
শীতের আবরনী পোশাক।
তবুও লক্ষ্যস্থির করে তাকালাম
রাস্তার ধারে খানিকটা জায়গায়-
হঠাৎ প্লাস্টিকের ব্যাগের ভেতর
কেমন যেন নড়াচড়ার শব্দ পেলাম..!
ক্ষনিকের মধ্যেই কাছে গেলাম
কি যেন নড়ছে ভেতরটায়
অনেকটা শিহরে উঠলাম...!
তবুও কৌতুহলের বশে-
খানিকটা সময় নীরভ দর্শক
পাশেই শীততাপ নিয়ন্ত্রিত শপিংমল ও হাসপাতাল!
সবাই কেনাকাটার প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত
আমি তখন ও প্লাস্টিকের ব্যাগেই সীমাবদ্ধ;
কেমন যেন নড়া চড়া-
আমার কৌতুহল আর বাধঁ মানলো না
টেনে ধরলাম ভেতরটা দেখবো বলে!
কি যেন নড়ছে তবুও-
কেমন জানি প্রচন্ড শীতে ঠক ঠক
ব্যাগের মুখটা সরাতেই-
কেমনে জানি-
কয়েক ফোঁটা পানি এসে পড়লো হাতে
প্রচন্ড কষ্টে ভিজে গেল
দুটি চোখের পাতা।
রাস্তার পাশে স্বপ্নের অপমৃত্যু..!
নিজের জন্মকে-
মানুষ হিসেবে পরিচয় দিতে ঘৃনা হল..!
ধিক্কার দিতে ইচ্ছে হল-
ঐ সকল নর-নারী কে
যাদের আমোদময়ী পাপ ডাকতে
কুঁড়িতেই শেষ হতে হল
একটি সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ কে
বলি দিতে হল-
একটি নিষ্পাপ নবজাতক কে।।