এক সমুজ্জ্বল চোখ
রতন সেনগুপ্ত


মাঝে  মাঝে মনে হয়
কোনো  পরগাছা শরীর
উৎকণ্ঠার পাশে উবু হয়ে আছে
আশঙ্কা খায় তার নিবেদিত প্রাণ

এত পা এগিয়ে এসে,এখন নিষ্ফলা নিরাশ পথ চলা
বিভেদের প্রতিভাস নিয়মিত সংবাদ খায়
চোখে মুখে মুদ্রা - রাক্ষস সিংহাসন পাতে
ধর্মাচার বাজার চড়ায়
চারা গাছে বর্ষাকাল নামে


সব প্রত্যাশা ছেড়ে, কাকতাড়ুয়া - দাসানুদাস
নিরামিষ ভোজী নরমাংসে উপাচারে  জ্বালায় অবিশ্বাস
চুপ কথা কাব্যময় প্রতিলিপি স্বর্নাক্ষরে লেখে
মুখোশ লাগেনা, মুখই সময় দখল নেয়
এই টুকু বলা যায় - তারপর!


পালক গজাবে কবে?
উড়ান দিতে হবে, শুধু বুলেটিন নয়
আকাশ প্রদীপ জ্বেলে বলে দিতে হবে হিম্মত


পৃথিবী আমার। এক সমুজ্জ্বল চোখে
ফেরাবো মানব জনম


কে ফেরাবে?  দায় সেরে, চলে গেলে হাওয়া
পথ যদি না হাঁটে, চেনা পথ ভুলে যাবে
অজস্র ভুলভুলাইয়া করিৎকর্মা, রাস্তা খুঁড়ে অপেক্ষায় আছে


জনম দুখিনী মা, জনম দুখিনী থাকে
যে কোন প্রশ্ন উত্তরে
গান বেঁধে চলে গেলে হবে!
কে আগুন জ্বালাবে? কার জ্বালা কতটা দুস্তর?
বুঝে নিতে  হবে


না হলে
আলেয়ারা খাতা খুলে প্রেরণা জোগাবে
তোমার ধবংসস্তুপে, গেয়ে যাবে অশেষ বেদনার গান