দিগন্তে মহাশ্মশান
রতন সেনগুপ্ত


কোন আলো এনে দেবে সুখের ঠিকানা?
কোন গান?
পবিত্র গঙ্গা যখন কলুষিত
সেই জলে স্নান দিলে শুদ্ধ বিবেচিত? হবে?
দু'পারে অসংখ্য বিষবংশী
অবিরত ঢালে দেবতার গ্রাস
ভাসে তুলসীপাতা


শ্বেত পদ্ম  ফোটাবে বলে এল কাণ্ডারি
নিপুণ নিবেশে ভরে নীল তরী
মালি জানে কারসাজি কলমের গাছে
বাগান ভরাতে হবে দ্রুত, সম্ভব তাড়াতাড়ি
সিংহাসন তাগাদায় আছে


তুমি বলেছিলে -
তিমির রাত্রি জুড়ে জ্বালাবে ঝাড়বাতি
কে তুমি? রুপান্তরি বাহার প্রতিমা!
ভিন্ন ভিন্ন ডাক নামে? তোমার স্বত্ব নাম কি?
জনগণে বানালে নাগা সন্ন্যাসী
জাগালে ধর্ম অজগর


কাব্যিক স্তোত্রে জাগে কাণ্ডজ্ঞান, এক সোনার পাথর বাটি
চোবানো ঈশ্বর, সিঁড়ি ওঠে  উর্দ্ধ মহাকাশ
এমনই তোমার নির্বাচনী, শুকিয়ে গেলে
পাঁপড়ি ছিঁড়ে দেবে


কথার নিচেও  থাকে কথার ভ্রুকুটি
তুমি ভোলাও চমৎকার
ভব তরী করে দেবে পার - এ বিশ্বাস বহু প্রচারে সংরক্ষিত আজ


যে জানে সে জানে
দিগন্তে জাগাও মহাশ্মশান  - আপন উৎসবে