ভাবতে অবাক লাগে,
বহমান শতাব্দীর প্রারম্ভে ,
আমরা সবাই এখন আঠারোর প্রান্তে।
দাঁড়িয়ে আছি ...নিজেরই অজান্তে ...
আঠারো বছর বয়স কী দুঃসহ...
এখন কথাটি যেন বিশ বাঁও জলে।
অধুনা আত্মকেন্দ্রিকতার বেড়াজালে,
চুপচাপ বসে শুনি ...বহুদূরে তার পদধ্বনি ...
ফেলে আসা শতকের মাঝামাঝি,
তখন প্লাবনের ভূমি ছিলো যথেষ্ট উর্বরা।
ধরা ছিলো গণহাতে মুক্তির শৃঙ্খল,
এখন তা অসীম দিগন্তে...শুধুই কালো ধোঁয়া ...
বিশ বাঁও পেরিয়ে গিয়ে তবুও,
গুটি গুটি বয়সের মাপকাঠিতে অসময় মাপি,
নতুন আঠারোতেও তা কাদায় চাপাচাপি।
কোথাও পেলো না...একটি মাত্র আদর্শলিপি...
শুধুমাত্র লোভের বশে প্রতিষ্ঠার পেছনে ছুটে,
চরম দূষণে আমরা নিজেরাই ধ্বংস করেছি -
নৈতিকতা! এমন কী মানবিকতাও।
ঠিক যখন ছিলাম অধিষ্ঠিত... সেই শেষবিশে...
এখনো যদিওবা কেউ আঠারোতে মাতে,
বেশিরভাগই নীতিভ্রষ্ট লড়াইয়ের পথে,
এমন কি নিতান্ত অবাঞ্ছিতের দলেও।
সংখ্যায় খুবই নগন্য... আর বেশ দুর্বল মনোবলে...
আঠারোর সে কিশোরকবির প্রাণ আনচান।
কুয়াশার জটাজাল ছিঁড়ে প্রবল আবেগে,
জানি না আর কী জাগবে কখনো -
তাঁর চির আকাঙ্খিত দ্রোহ... সেই নবারুণ রাগে...
কেইবা জানে - আমাদের এই ভাবি প্রজন্ম,
কোথায় ধাবমান...আলোকিত পথ আর কতদূরে...