বাগনানের পথে যাচ্ছিলাম সভা ছিলো,
'এবং লোকায়ত' পত্রিকার সম্পাদক,
মুরারী মোহন চক্রবর্তীর সাথে রওনা দিয়েছি,
দিনটি ভাষাদিবস।
'স্বজন' পত্রিকার আমন্ত্রণে,
ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানোই উদ্দেশ্য।


সম্পাদকের মুঠোফোনে তীব্র প্রতিবাদ,
বেশ কিছু তৎপরতা নিয়েই আলোচনা,
প্রায় দশমিনিট!!
আমি বিপ‌রীতে থাকা বাকরুদ্ধ দর্শক...
এবার আসল খবর জানা গেল।


ওপার বাংলায় প্রায় নিয়মিত যাতায়াত,
এমন একজন কবির বর্ণনায়,
'সত্যব্রত ব্যানার্জী এখানকার ভাষাদিবসে,
শহীদের শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে এসেছিলেন।
ভোররাতে অসুস্থ হওয়ায়,
তাঁকে হাসপাতালেও দেওয়া হয়।
কিন্তু কিছুই করা  গেলো না...'


দীর্ঘশ্বাসটা ধরে রাখা গেল না...
এরপর বিশাল খবরাখবর পালা!
সম্পাদকের নানান পরামর্শ ...
সব ব্যবস্থা আর পরিকল্পনার ছক গড়ে,
এক‌টি গতিশীল ব্যক্তিত্বে অর্পণ করলেন,
তিনি সমগ্র ভার,
সদানন্দে বর্ষীয়ান সর্বানন্দ ব্যানার্জী ...


সভায় শহীদবেদীতে মাল্যদান করতে গিয়েও-
আমাদের নিকটতম বন্ধুর কথাই মনে হলো,
ভাবতেই পারছিলাম না-
মৃত্যুও কীভাবে হঠাৎই
এমন কালজয়ী হয়ে উঠতে পারে...


'সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি'
কী করে জীবন দিয়েই প্রমাণ করা যায়?
শেষ পৃষ্ঠায় এসে সোনার বাংলায় -
তারা হয়ে মন্ত্রবলে অমরত্বের পথ খুঁজে পায়...


################################


** আমার অতি পরিচিত বন্ধু সত্যব্রত
ব্যানার্জী ২১ শে ফেব্রুয়ারীর সকালেই
বাংলাদেশে গত হয়েছেন। তারই জন্য
এটি সত্যনির্ভর রচনা।


################################