অনিন্দিতা,
আজও বন্দী আমি।
কিন্তু কেন?
চাওয়া-পাওয়ার হিসেব মিলছে না।
স্বাধীনতা আকর্ষণে রক্ত বাজি রেখে
আমি তো রক্ত স্রোতের উৎস খুঁজে গেছি।
তবে এই ফাঁক কোথা হতে এলো?
কেনই বা এলো?
ওদের মতে  -
ওরাও তো স্বাধীনতাই চায়!
তবে কেন আমি আজ এই অন্ধকূপে?


নিকষ কালো বিভীষিকা ঘিরেছে আমায়।
কেন এখানে থেকে আঁকছি যন্ত্রনাকে?
সবুজ হারিয়ে গেল,
হারালে তুমিও।
এখন জমা ক্লান্ত মনের ক্লেদ খাবি খায়,
তবু আমি যে বিশ্বাস করি,
একদিন ভবিষ্যৎ উত্তর দিতে বাধ্য হবেই।
হয়তো সেদিন শহীদ ভীড়ে আমিও...


আমার মত স্বাধীনতা বিশ্বাসী মন
যারা সেলাম না দিয়ে রক্ত দিয়ে যায়,
তাদের নিয়ে ভাবনা ভাবতে হবেই।
সুখ না ছেড়ে কাঁটা বেছানো পথে পথচলা ,
পথকে কখনোই দৃঢ় করবে না।
বিস্ফোরণ হীন গোলার মত
বালতি বন্দি হয়ে যাবে, অনতিবিলম্বে।
ভাববার দিন কিন্তু খুব বেশী দূরে নয়।


গণ্ডিবদ্ধ গোপনতা চিরস্হায়ী হতে পারে না।
এখনো মানুষ আছে,
রয়েছে নবীন,
পালিয়ে পাবে না কেউ পরিত্রান!
শেষ বিস্ফোরণের দিনটি খুবই কাছে,
সাবধান বানী উঠছে আজ ওই দিগন্ত ব্যাপি,
কেউ না কেউ তো থাকবে।
কিন্তু কে?
ইতিহাসে কে অমর জানে ভবিষ্যৎ!