আমি নাকি দুষ্ট বড়ই
                         সক্কলে তাই বলে,
আসলে ওরা বলে, আমার এই
                     পিস্তলে  ভয় পেলে।
সকাল থেকেই মাথায় আমার
                    ফন্দি ফিকির ঘোরে,
লুকোই অনেক! তবুও খানিক
                      বের হয়ে তার পরে,
তাতেই কপালে নিত্য নতুন
                    পিট্টি আমার জোটে,
দেখেও না ওরা, ঠোঁটটি তখন
                    কেমন ফুঁপিয়ে ওঠে।


বোনের পুতুল নতুনই ছিলো
                        জামাটা খুব শক্ত,
পরীক্ষা তার করা দরকার,
                        বুকটা এবং রক্ত।
ব্লেড দিয়ে সবে কাটছি জামাটা,
                    মা বলেন কান ধরে -
"কাটতে শিখছ? দেখাও তো দেখি,
                 অমনি জামাটি গড়ে। "
আমি ডাক্তার হলে! পারতো কি মা
                   মুলতে দু'কান  হেন?
বলতো উল্টে, "দেখ তো খোকা,
                 মাথাটা ঘুরছে কেন? "


বাবা আমায় টয়-ট্রেনটা
                     দিয়েছে জন্মদিনে,
লাইট দুটি তার টাইট করতেই
                   ভাঙলো অলুক্ষুনে।
বলেন বাবা "ভাঙতে শিখেছো,
                 আর দেব না গাড়ী। "
কি করে বোঝাই, গড়তেও পারি
                মাটির কলসী, হাঁড়ি ;
চুপ করে যাই। ইঞ্জিনিয়ার
                   হতে দাও একবার,
বাবা বলবেন, "দেখ্ তো বাবা,
            কী যে হলো ব্রেকটার! "


প্লেন ভেঙেছি, প্রপেলারটার
                 ভেতর দেখবো তাই,
লাভের মধ্যে লাভ হলো শুধু
                     দাদার গাট্টাটাই।
দেখো দাদাকেও পাত্তা দেব না,
                 নীল আর্মস্ট্রং হলে,
এসব কথা বুঝবে না কেউ
                  বৃথাই যাচ্ছি বলে।
কপালদোষে সবাই আমায়,
               ভাঙার দলেই ভাবে,
ভাঙা ছেড়ে তাই গড়ছি মনটা,
                বড় যে হতেই হবে।