কোথাও একটুকরো মাটি বরাদ্দ ছিলো না
ঝুলে থাকা ওই বটগাছটার জন্যে,
কোন একদিন পাখির ডানায় ভর করেই
কোথাকার সে বট না জানি কোথায়!
এখন তার আশ্রয় ভাঙা রাজবাড়ীটার
অনেক উচুঁতে থাকা এক কার্ণিশে!
আশ্রয় মানে তো সেই ঝুলে থাকা অনন্তকাল...


একদিন দুর্বলও হলো রাজের দুনিয়া...
কিন্তু গাছকাটার দিকে আর নজর নেই কারও,
টিকে থাকা শরিকেরা নিজেরাও সব
ওই গাছটার মতই জমি বদলের ইতিহাস,
নিজস্ব আস্তানা রক্ষা করার ক্ষমতা নেই কারও,
কোনমতে দিন গুজরান!
এভাবেই সহাবস্থানের ভিত্তিতেই সবাই...


দিন বদলায় ক্যালেন্ডারের পাতায় পাতায়।
একসময় যেখা‌নে পুজায় ঢাক বাজতো;
না হলেও শতাধিক একই সাথে।
আজ সেখানে জ্বলে না সন্ধ্যা প্রদীপ,
পুজোর স্বপ্নজাল যখন ছোটদের চোখমুখে,
তখন পুজোর আগে পচা ভাদ্দরের
অবিরাম বর্ষায় অসীম চিন্তায় তাদের গুরুজনেরা...


সমাধান এভাবেই আসে,
হঠাৎ ঝড়ের প্রবল প্রতাপ আর সহ্য হলো না,
তার ওপরে ভেজা ইঁট ও ক্রমাগত বর্ষণ;
ঝুলে থাকা বট রাস্তায় আং‌শিক বাড়ির ছাদসহ।
যারা বেঁচেছিলো, তাদের দরজায় প্রমোটার এখন,
জানি না, সুরাহা করতে নাকি ঘরছাড়া??
আজ নেই পুরোনো ঝুলে থাকা সে বটের ছায়াটা...

******************************
সত্য ঘটনা অবলম্বনে লেখা।আমাদেরই পাড়ায়
ত্রানবাবুর প্রাচীন জমিদার বাড়িটির বেশ কিছুটা
অংশ ভেঙে যাওয়ার জন্যেই এই লেখা।
******************************