মানুষটা একটু আজব ছিলো,
এক কথায় বেমানান।
পরের বোঝা বওয়ার মধ্যেই
আনন্দ খুঁজতো,
কাঁদতে জানতো, জানতো হাসতেও...।
বিচিত্র শব্দে মিশে যেত সাত সমুদ্দুরে।


একবার -
নিজের অগোচরে বাঁধা পড়লো,
তুচ্ছ জীবন বাজি রেখেই ঝাপ দিলো।
একটু বোধহয় বেশীই ঝুঁকি হয়ে গেলো।
বলে না - স্বভাব যায় না ম'লে!
কিন্তু নুন গললো না, কিছুটা হতাশ।


বয়সে জড়তামুক্ত হওয়া সম্ভব নয়,
এই প্রথম বোঝা একটু বোঝা।
তবুও হাসি অম্লান,
মেঘ কেটে যায়,
আজও বিষাদ ঘেরেনি তাকে!
যদিও পথের কাঁটা রয়েছে বিদ্রুপে।


এমনি করেই দিন যায়,
মানুষটা একটু একটু করে দূরে।
ইচ্ছেমত এগোলে হাঁপ ধরে,
পাথরের আঘাতে ক্ষত বিক্ষত দুটি পা,
একটি সাপ হিসহিসিয়ে চলে যায়-
এক আঁধার মেঘে ঢাকা পূর্ণিমা রাত
অন্তিম যাত্রাপথে আজ...


হয়তো আবার নতুন কোনো পথে...
ভাসতে ভাসতে মিলিয়ে যাওয়া,
নতুন করে ভার খুঁজে নেওয়া ...!


সেই লোকটা,
যে ভার দেওয়া শেখেনি কখনো!
কেন তারই জন্যে - আমি ভারাক্রান্ত আজ?
লেখাই বা কেন ঝাপসা হয়ে যায় .....।