সাগরের সব ঢেউ এসে আছড়ে পড়ছে!
তাই আজ ক্লান্ত প্লাবিত তুমি; কন্যাকুমারী,
মোহময়ী মাতা, সুখ ব্যথা বয়ে অনিবার ,
মিশায়েছে তব বক্ষে হেসে; হে সাগরকন্যা!
তাদের ইতিহাসে ভরেছে তোমার অঙ্গন।


পাশাপাশি, ত্রিঘাতের আঘাতে সমৃদ্ধ তুমি;
প্রজ্ঞাময় তরুণ তাপস প্রথম পদাঙ্কে,
তোমাকে স্মরণ শীর্ষাকাশে স্থান দিয়েছিলো!
বরণ করে নিয়েছিলে তাঁকে স্বজন বলে।
পাথর কঠিণ মনেও ছিলো প্রেম উজ্জ্বল।  


তাঁর পরিব্রাজক মন শৈল শিখর হতে,
সামুদ্রিক প্রকৃতি দর্শনে ছিলো বিভোর।
তুমি তাঁকে গভীর আকর্ষণে বেঁধেছিলে,
বোঝনি তখন, ধ্যানমগ্ন যুবা একদিন,
তব আলিঙ্গনে; দৃপ্ত মনে জাগ্রত হবে।


ভাবনি, এক সুত্রে গড়বে মহান ভারত।
তবু তাই হলো! বিশ্বপ্রেম ছড়ায়ে ভুবনে
ভারতকে জগৎ মাঝে শ্রেষ্ঠ আসন দিলো!
শবরী প্রতীক্ষা! তুমি গুপ্ত ছিলে বহুকাল,
পদধুলি পেয়ে, ধন্য হলো শাপমুক্তি বুঝি।


সাক্ষাতের প্রথম দিনটি আজও উজ্জ্বল!
দেবী প্রশ্ন করেছিল, "কী দেখছ মগ্নযোগী?"
তিনি বল্লেন, "অবিরাম গর্জনে নীরবতা।"
"আমি যে কন্যাকুমারী গো, আমাকে দেখছো না?"
উত্তর মিলিয়ে গেল তিন সাগরের তলে...।


বঙ্গ,ভারত আর নীলাভ ওই আরবের জলে...
কন্যাকুমারিকার উপকূলে।