আমার বন্ধু করুণাসিন্ধু মস্ত সে এক কবি,
বসে কিছুক্ষণ হয়ে আনমন লেখাটাই ওর হবি।
লেখে কতকিছু-না হলেও মানে,
লেখাগুলো দামী এ কথা সে জানে।
অভিধান থেকে বাছাবাছা কথা জড়ো করে একমনে,
তারপর সব একএক করে জোড়ে সে কালির টানে।
শব্দগুলোকে শক্ত করে সে সারার্থ রাখে গুপ্ত,
পাঠকেরা যাতে মাথাটি নাড়ায় না হলেও মানে রপ্ত।
বুঝলে সবাই দাম কমে যায়,
তাই তো শক্ত শব্দ জোঠায়।
কারমানে হলো কার হলো না কজনেবা খোঁজ রাখে?
আছে তো শব্দ করতে জব্দ মূর্খ সমাজটাকে।
বর্ণনা তার মেলা বেশভার পরণেতে প্যান্ট পাঞ্জাবি,
মুখে সিগারেট বুকতে বোতাম হাতেঘড়ি বেশ দামী!
লেখার মাথাটা থাক বা না থাক
মুন্ডুটা বলে ধনীমুছে যাক।
তাইতো বেশের পরিবেশে সেই সুচিত্রটা তুলে ধরে,
মদ না খেলে লিখবে কি? তাই বিলিতি দেশি ছেড়ে।
এ হেন বন্ধু করুনাসিন্ধু বর্ননা কতো দেব আর?
জানতে চাইলে বলতেপারি পাত্তা কোথা মেলে তার।
দিনে কফি হাউজ রাত্রে গ্রান্ডে
শনি রবিবার রেস গ্রাউন্ডে!
যদি চাও তারে দেখতে পাবে খুঁজে বারকর একবার,
তখন দেখো কত্ত বাড়ানো না বাকি আছে লেখবার?