ময়াল জড়িয়ে ধরলো আমাকে,
আরামবাগের ছোঁয়ায় মন জাগলো,
কিছু হয়রানি রথ খুঁজতে,
শেষমেশ গণ্ডগ্রামের জন্যে যাত্রা শুরু।


নৌকা চলা পথে যেতে যেতে -
কোমর যখনই বিদ্রোহী শিবিরে,
কোনো যাদুকর যেন এসে,
সবুজ রঙটা সামনে ছড়িয়ে দিলো।


অজগরের নিঃশ্বাসের মতো অনুভবে এলো,
নিজের দিকে ক্রমশই কী তার আকর্ষণ।
আমি একাত্ম হয়ে এগিয়ে চলেছি,
তার দুর্নিবার রূপের ছটায়।


দুপুরে ছাতের থেকে দেখলাম-
মাটিরা দোচালা বাড়ি গড়েছে তালমিলে,
মনক্যামেরা বন্দী করলো তাকে।
গাছের সাথে পাল্লা দিয়েও দিব্যি প্রতিষ্ঠিত।


বিকেলে হাঁটতে হাঁটতে সাঁকো পার ,
খানাকুলের কিছু খানা গোগ্রাসে!
সেখানে সওদা চললো কিছুটা সময়,
আবার ফিরতি পথেই চোখ।


বুঝিনি আগে,
আরোও কিছু অপেক্ষায় ছিলো।
এবার সাঁকো পার হয়েই চমকে গেলাম,
আকাশ জুড়ে পূর্ণিমার চাঁদ।


গাছের ফাঁক থেকেই ডাকছে আমায় কেউ।
আলোপথ বেয়ে পরীদল নেমে এলো,
হেমন্তের পাকা ধানে পাক্কা রঙ ছড়ালো,
আর আমি হারিয়ে গেলাম ময়াল আশ্রয়ে।


* ময়াল রামকৃষ্ণ মিশন পরিভ্রমনের
অভিজ্ঞতা।