সুরেলা গলার টানে আর কেউ বলবে না-
শুধু ভালোবাসা দিয়ে বলে যাই আমি,
'তোমারে বেসেছি ভালো '।
তাঁকে দিয়েই শুরু বেদনের এই যাত্রা।


শিক্ষাগুরুর দীক্ষাজীবনে নতুন করে কেউ ,
চোখে আঙুল দিয়ে বলার সাহস দেখাবে না,
বা নগ্নতাকে চিহ্নিত করবে না রাজ পথে পথে ,
আমরা রইলাম এমনই বঞ্চিতের দলে।


গরমভাতের আশা আজ অনেক দূর,
একাত্তরের কলকাতার উত্তাপ নিয়ে,
আর কেউ ছবি আঁকার সাহস দেখাবে না,
একদিন মনেও পড়বে না মৃগয়ায় অভিযান।


উপন্যাস ভাড়ারেও খরা যেন ভেতর থেকে
বেশ কিছুটা মনকে নাড়া দিল অজান্তেই,
দিব্যের ক্রমানুসারে অনিবার্য ব্যক্তিত্বের মাঝে,
একটি নিয়মিত নামও অকস্মাৎ  অনুপস্থিত।


বছরের শেষভাগেই সুনামি হয়েছিল তা জানি,
এবার কী বনবাস পর্বকে অতিক্রম করে,
আবারও দেখলাম নিশ্চিত এক ভরাডুবি!
আকস্মিক কম্পনের প্রবল এক‌টি ঝাঁকুনি।


একঝাঁক তারা দলবদ্ধভাবে বুঝি একসাথে,
খসে পড়লো সেই অজানা  নীলাকাশ হতে।
মানদণ্ডের মাপে যাঁদের কিছুই  মাপা যায় না,
কেবলমাত্র তাকিয়ে তাকিয়ে, ক্ষতি মেপে যাই।


হয়তো বা অন্য কোথা অন্য কোনোখানে,
আগামীর কল্পনা বাসর সৃ‌ষ্টিতে-
আবারও নতুন কোনো কালজয়ী  উপন্যাস,
ওরা, আমাদের উপহার দিয়ে যাবে।


অমৃতলোকে বা তদূর্ধ উন্নীত শিখরে...
সফল করবে সব দিকপালের ভ্রমণ!