কোন এক আকাশ-লাল বিকেলে,
দূরে কোথাও আড়বাঁশি বাজছিলো
উথাল পাথাল হাওয়ার তোড়ে,
সুগন্ধী আতর ছড়িয়ে ভিজে বাতাসে ভর করা
মনভোলা ছায়াপথের কোনও খেলা,
আপনকরে কাছে টানার সুরে মাতাল...


পার্কের বেঞ্চে বসা আপাতব্যস্ত
এক উনিশ-মেয়ে লিখেই চলে‌ছিলো,
উপচে পড়া ঝড়ে এখন তার
কথায় আলো প্রসারিত ,
সেই ভাষাহীন পাখিটাও যেন আড়ালে
তাণ্ডবে তটস্থ...


তারপর,
নদী বেয়ে চলে‌ছে কখনো কচুরিপানা
কখনও বা কারখানার তেল দিয়ে ভরা
জোয়ারের জল,
রোজনামচার মুখঝামটায়
হাত পুড়িয়েও পেট আর ভরে না, অসহ্য...


আজ আবারও সেই বেঞ্চের টানেই
আরও একবার,
আজ কিন্তু অন্যমনের অন্যগলি কাঁদে,
ভিজে যায় ঘেমো জামাগুলো;
মনে হয় পাতাঝরার অবসরে থাকা
চুপিচুপি, কোনো স্থবির মূর্তি আবারও ...