"আঃ। ছাড়ো না, দস্যি কোথাকার।" বল্লে ও আমায়।
লাল পলাশের নীচে, ঝাঁউ বনেরই কাছে,
কণ্ঠমালা দেখে এ মন,উদাস হয়ে যায়,
ত্রস্ত দেখি ওকে,কেউ দেখে ফেলে পাছে -
হরিণ কালো নয়ান মেলে,এদিক ওদিক চায়,
লাগামছাড়া মন মানে না,তাই দেখি আরবার,
মিষ্টি হেসে কেবলমাত্র,চোখের ইশারায় -
বল্লে আমায়,"আঃ। সড়ো না, দস্যি কোথাকার।"


সূয্যি তখন দিগন্ত থেকে, বলছিল - যাই যাই,
রাঙা আভা তাই ছরিয়ে গেছে, সেই বিদায়ের পথে,
সংগে ছিলো তার মুখ ভরা, রাঙা সেই হসিটাই,
হাত যে তখন বন্দী দশায়, ছিলো আমার হাতে,
চোখের পাতায় দেখেছিলাম, কত না হারিয়ে যাওয়া,
এবার আমি হাত বাড়িয়ে, মুখ ফেরালাম তার,
ছোট্ট একটা পরশ দিয়ে,দুষ্টু হাসির ছোঁওয়া -
বল্লে আমায়,"আঃ। কি করো? দস্যি কোথাকার।"


এমন সময় গাছের থেকে, পড়লো ঝরে পলাশ,
টুপকরে ঠাঁই করে নিলো, তারই কোলের পরে,
দুহাতে ঢাকা মুখখানি তার, পেলো রঙিন আভাস,
কোলের থেকে ফুলটি তুলে,নিলাম আপন করে,
পরিয়ে দিলাম কবরীতে তার, কালো চুলের ছায়ে,
কাছেতে বসে দুহাত দিয়ে, মুখ ফেরালাম তার,
আনমনে সে গালেতে আমার, ছোট্ট টোকা দিয়ে,
বল্লে আমায়,"হচ্ছেটা কি? দস্যি, তুমি আমার।