ক্লেদ জমেছিল, বহু ক্লেদ জমেছিল
ঐ নীল ধমনি জুড়ে,
ধীরে ধীরে বহু ক্লেদ জমেছিল।
বেলুন সার্জারি ক্লেদমুক্ত করলো ধমনিকে,
বিনা টিকিটে ঘুরলাম ওপারে বিশ সেকেন্ড প্রায়,
কোমা মানে ব্রেইন ডেথ তাও আমি জানি,
আমি কিন্তু  দেখলাম নিজের দেহকে
দেহের কিছু ওপর থেকে  ভেসে ভেসে,
শান্তি, শুধু শান্তির ছোঁয়া,
কোন ব্যথা নেই তখন,
তবুও ডাক্তারের কিল ঘুসি খেয়ে নাচলো হৃদয়,
সংগে আড়াই লাখের দুটি গয়না - স্টেন্ট!


তাতেও কি হয় ছাই!
নতুন উপশম,
না চেনার রোগ,
মাথার কাজ বন্ধ,
সিটি স্কানে মাথাাতে ব্লাড ক্লড,
মাইল্ড সেরিব্রাল।
কি করে আর এসব মনে রাখি?
মাথাই নেই তো কিসের মাথাব্যথা!
একদিকে বাঁচাই গেল।
গাদাগাদা টেস্ট, ওষুধ ;
মায় মেন্টাল ডক্টরও দেখানো হল।
কি যেন নতুন নাম
হ্যাঁ, কাউন্সেলিং।


ফের বুক ধড়ফড়।
চিকিৎসকের মতে -
এবার পেসমেকারের ভীষণ দরকার।
অভিজ্ঞতা বাড়ে,
কতো লোকজন ব্যস্ত দুনিয়ায়,
কত সজ্জন বেসাতি করে হৃদয়ের,
হৃদয় ছাড়াই।
আবার গয়নার সংখ্যা বাড়লো,
পেসমেকার এলো।
ব্যাস। আর কী চাই?
এখন হৃদয়ে ভাবনার ভাব নেই,
আর এটাই না কি নতুন সভ্যতা!
ঐ পেসমেকারই পারলো -
আমাকে ঠেলতে ওদের দলে।


হে পেসমেকার তোমায় স্বাগত জানাই।


(আমার জীবন অভিজ্ঞতা দিয়ে লেখা )