লেখিকা হবার মতো কলমের জোর নেই,
সুরে করে গাইবো দুকলি, গলায় সুর নেই,
নেই এর দলেই আছে,জীবনের সিংহভাগ,
রূপ নেই বা চোখে নেই কোন মাদকতাও,
চলার বুদ্ধি নেই , সরার মতো বলও নেই।
থাকার মধ্যে আছে এক অসহ্য যন্ত্রনা।
বুকে মোচর দেওয়া..যন্ত্রনা এক..অসহ্য...
একমাত্র সেই আমার নিত্য সংগী।


ইচ্ছেমত সে আমাকে যখন তখন দংশায়,
তাকে ভালবাসা..গভীর আমার ..গভীর..
সেই কবে, আমার ফোটার দিন থেকেই...।
ওকে আমি খুব ভালবাসি ..খুব ..খুবই ..
যত আঘাত পাই , বুকের গভীরে জমাই,
এমনি করেই একটা আঘাত এলোছিলো,
একদিন এক পাগলা কবি আমায় বললে,
তুমি কী সুন্দর.. সুন্দর ...ভীষণ সুন্দর ...।


তার সে বলার যাদু আমায় সুন্দর করলো,
এক অপরূপা জন্ম নিলো মনেতে আমার,
গুনগুনিয়ে উঠলো-ভেতরে গানের কলি ,
বেশ বুঝলাম, আমি এখন সুন্দরের দলে।
খোঁপায় গোলাপ , চোখে টানা কাজল,
ঘুরে ফিরে দেখছি..আর দেখছি...বারবার।


মা বল্লো - " কি অত দেখছিস, আয়নায়? "


মুহূর্তে মনমুকুর ভেঙে চৌচির,শুধু সেই -
চিড় গুলো ক্ষতবিক্ষত করলো আমায়,
আশ্রয় নিলাম আকাশে,খোলা জানালায়,
তবু, জানালা বন্ধ হলো-
আবার কুচ্ছিত..আমি আবার কুচ্ছিত...
আঘাত পেলাম।


পাগল কবি আর আসে না..আসে না তো,
আর বলে না, কেউ কিছুতেই বলে না..
তুমি খুব সুন্দর ...খুব ..খুবই..সুন্দর ..
সব সুর..কোথা ভেসে যায় ..ভেসেই যায় ..
শুধু ঐ আয়নার. ..টুকরো কাঁচগুলো ...
পরে থাকে আবর্জনায় ..ভাঙা কাঁচ হয়ে ..


.