শৈলচূড় আলয়ের থেকে,
আপন গতিতে নেমে এলে।
শুধুই ভাঁটায় ছুটে চলা-
জন্মভোর ক্ষয়িষ্ণু বসন।


লক্ষ্য বরাবর স্থির ; সেই-
কালসিন্ধু মাঝে স্বীয় মন।
কত অশ্রু, কত না বসতি,
পাপমুক্ত করে ধেয়ে গেছো।


তোমার পূন্য সলিল ধারা,
অকৃপণ স্নেহে বয়, নিয়ে -
জননীর কৃপা আশীর্বাদ।
জেগে ওঠে সন্তানের প্রাণ।


উচ্ছ্বাস কখনো যদি আসে-
জোয়ারের সাগর লহরে।
শুধু পাদস্পর্শ করে যায়।
সব বল ভাঁটায় বিলীন।


ইচ্ছে মত মেঘমালা হয়ে,
চলে যাও গগন বিহারে,
পাপাত্মাদের পরিশোধনে-
আবারো সেই শৈল চুড়ায়।


এভাবেই পরিক্রমা চলে,
কাল হতে অনন্ত আশ্রয়ে।
ধরিত্রীরে সবুজে সাজাও,
ওরা তোমার সন্তান বলে।