মেয়েটি কবি হবার স্বপ্ন দেখেছিল,
কলম জোরে ঈশ্বর বঞ্চিত করেনি।
কিন্তু সমাজ কিছুতে মেনে নিল না,
স্পষ্ট ভাষায় স্পষ্ট কথা কাল হলো।


সতীমার পাঁচালী সুনাম এনে দিলো,
তখন উনিশে। বাবা টোটো ড্রাইভার।
কর্ম ছেড়ে  কর্মনাশা  জুয়ার আসরে,
ঘরে বসে বসে শুধু  রোগগ্রস্ত হলো।


রাগে  মেয়েটি  এ্যসিড খেয়ে নিলো,
গলাতে খাবার খাওয়া আর হলোনা,
নলেতে তরল খায়। তবু সাধ হলেও
চর্বণে স্বাদ,ভক্ষণে কখনোই হয় না।


অনাহারে অর্ধাহারেও জীবন থামেনি,
আজো মনের মানুষ হাল ধরে আছে।
তাকেও ইচ্ছে করে দূরে রেখে দিলো,
কারো জীবন নষ্টকরা উচিৎ নয় বলে।


অথচ কলম এখনো লিখেই চলেছে,
জীবনের গান।যাতে জীবনই বঞ্চিত।
লেখার রাজকন্যে দিয়ে তৃপ্তি মেটায়
যে সুর ওর থেকে এখন অনেকদূরে।


বিধি বাম,হঠাৎ বাবাও চলে গেলেন।
খাবার টিউব নিয়ে হয় শ্রাদ্ধের কাজ
আগামী আঁধারে। জানেই না আসবে
কী না নব দিগন্ত! শুধু কলম চলছে।


যা ও পায় নি কখনো,অলীক স্বপ্নের
রাজ্য থেকে তাকে খুঁজে পেতে চায়।
জীবন মরণ তোয়াক্কায় নেই মোটেই,
লিখে চলে, জীবনে পায় নি যা তাই।


   *সত্য নির্ভর রচনা