বিশ্ব জেনে গেছে বাংলা, বাঙালির মন!
বাংলা মায়ের সেটাই তো আপন সৃজন।
একুশে অক্টোবরে দুই হাজার দশে,
একুশে ফেব্রুয়ারি পায় মুক্তি শেষে,
জাতিসংঘ প্রাপ্ত চূড়ান্ত ঘোষনায়;
"ভাষা আন্দোলন দিন" নব পরিচয়।
কত ইতিহাস বন্দী ভাষা আন্দোলন,
কিছুটা স্মরণে আজ আনা প্রয়োজন।


তেইশে ফেব্রুয়ারী, আটচল্লিশে দাবি;
ধীরেন্দ্র নাথ দত্তের আঁকা এক মনছবি,
"বাংলা হোক রাষ্ট্রভাষা" সবে সহমত।
মানেন নি নাজিমুদ্দিন কিংবা লিয়াকত,
মিথ্যা প্রতিশ্রুতিতেই রোখে আন্দোলন ;
সরকার আপন বাক্য করিলো লঙ্ঘন।
জিন্নাহের ঘোষনায়  উর্দু রাষ্ট্রভাষা,
না দমলেও, কিছুটা তো চিড় খায় আশা।


উনিশশো বাহান্নতেই জোরালো হরতাল,
একুশে ফেব্রুয়ারী ; শহীদ রক্তে লাল।
রফিক, জব্বার, সালাম সাথেতে বরকত,
রক্তে রাঙা ইতিহাসে শহীদ সম্পদ।
পরদিনেই শাফিউর বা আউয়াল ভাই,
ওয়াহিউল্লাহ এবং গোটা দেশটাই ,
শহীদের তাজা রক্ত টগবগিয়ে ফোটে।
তুষের আগুন কিন্তু ধোঁয়া হয়ে ছোটে!


উনিশশো ছাপ্পান্নো, আবারও আসে জয়,
বাংলা দ্বিতীয় রাষ্ট্রভাষার পরিচয়।
বাংলার বর্ষেতে একুশে ফেব্রুয়ারি,
ধীরে ধীরে চলে স্বীয় লক্ষ্য 'পরি।
উনিশ-তেষট্টি! একুশে ফেব্রুয়ারি,
বরকতের মাতা তাঁর বরকতকেই স্মরি-
বাংলাতে শহীদ মিনার করেন উদ্বোধন।
বাংলাদেশে যা বড়ই আপনার ধন।


এরপর প্রত্যেকটি একুশে ফেব্রুয়ারী,
বাংলার শহীদ কূলকে স্মরণেতে ধরি;
প্রতিজ্ঞায় থাকে "বাংলা মাতৃভাষা হোক"।
সন্তান হারা মা তাঁর ব্যক্ত করেন শোক।
পরাধীন বাংলাদেশ স্বাধীনতা পেলে,
পুরোপুরি রাষ্ট্রভাষা মর্যাদা মেলে।
এভাবেই আজকে একুশে ফেব্রুয়ারী,
ভাষা আন্দোলন হয় ন্যায্য অধিকারী।