"বাঃ! সব ব্যাটাকে ছেড়ে,
এবার নরম মাটিটা পাকড়ালে!
নেহাত তোমার মুখের ওপরে,
'না' বলি না, তাই...
যাক্, সক্কালবেলা হুজ্জুতি ভালো লাগে না।
দাও! একটা সাইকেল দাও।
নইলে এ মিঞা নড়বে না এক পাও,
হ্যাঁ বাবা, সাফ কথা একদম।
বাপরে বাপ। যা ঠা ঠা রোদ্দুর!
ভেবেছ, বার খাইয়ে ক্ষুদিরাম বানাবে!
সেটি হবে না..."


বিবর্ণ হয়ে গেল সুবর্ণ জয়ন্তী!
চট্‌ করে মেয়ের হাত ধরে বল্লাম,
"চল্ মা, দড়ি এনে পতাকা তুলতে দেরী আছে,
স্কুলে যাবার সময় থাকবে না। "


যাবার পথে আবার মেয়ের প্রশ্ন,
"বাবা, ক্ষুদিরাম কি চকলেট বার
খুব ভালোবাসতো? "
"কে বলেছে? "
"কেন, সন্টে দা বলছিলো যে! "
"আঃ!তোমাকে না বলেছি -
বড়দের সব কথায় কান দেবে না।
চলো, দেরী হয়ে যাবে। "


(ক্রমশঃ... দ্বাদশ খণ্ডে সমাপ্য।)