ট্রেনটার দুরন্ত আওয়াজ যেন ঘুম কেড়ে নিলো,
সামনে ফুঁসতে ফুঁসতে এগোচ্ছে বেশ গতিতে।
রেলপথের ওপরে ঘোমটা দেয়া ব্রীজটায় দেখি
নিয়ম মেনে দূরেদূরে সারি দিয়ে অনেক গাড়ি।
দেশলাই খোলের মতই ওই রঙিন বাড়িগুলো,
মনে হয় যেন ঝুলনেতে সাজানো একটি শহর।
রাতটাকে কাটিয়ে শহরের ঘুম ভাঙো ভাঙো ,
এখনো আকাশের লালভাব মিলিয়ে যায় নি,
শরীর সচেতন মানুষ সব পায়চারিতে ব্যস্ত...
ঘুমচোখে ওই আটতলার নজর নীচের দিকে,
ইচ্ছে নেই একটুও আর জীবনটা গড়বে বলে,
নীরব দর্শকের মত শুধু ক্ষতের পর্যালোচনা।
তবু যখন দেখছে জগত কেমন ছুটেই চলছে-
মন উতলা হলো সেও খানিকটা হাঁটতে পারে।
এই ব্যাপারে এখনো কোনো ট্যাক্স লাগছে না!
ব্যস্! লিফটে হাত রেখে গ্রাউন্ডফ্লোর টিপলো।
ইচ্ছে হলো একটু রোদের ছায়ায় গা ভেজানো।
মাথা ঘুরে গেল! ওর না বলে বেড়োনো বারণ।
আপনজনেরা তাই ওকে ওপরের ঘরে রেখেছে।
মাত্র আটটা তলায় কি করে হয় এত ব্যবধান!
মুক্ত হাওয়ায় ঘোরা বস্তিবাসীগুলো তবে কারা?
ভাবতে ভাবতে সূর্য ঠিক মাথার উপরে এলো...
গোলমেলে চিন্তাগুলো যেন কখন ঘুমিয়ে গেল।
লিফটের এক যাত্রীই সনাক্ত করেছিল লাশটা।