পাঠ :


খোকাকে দাদু ভালবাসতো
প্রাণের থেকেও বেশি,
খোকন ছিলো আর ছিলো
তার অঙ্ক রাশি রাশি।


বকলে খোকন আপনমনে,
দাদুর জবাবও অচেতনে,
যখন দাদু থাকতো ব্যস্ত
অঙ্ক নিয়ে তার,
ভাবলে এখন অবাক লাগে,
অমন জটিল গুনে বা ভাগে,
কি করে দাদু অনায়াসে
মেটাতো প্রশ্নভার।


এমনি এক সাতসকালে
কাণ্ড ঘটলো এক,
ঘটনা তবে 'দাদুর রাগ'
কবিতায় শোনা যাক।


চতুর্থ কবিতা


দাদুর রাগ


দুষ্টু ছেলের বকবকানি
চলছিল সেই সকাল থেকে,
দাদুর রাগও বাড়ছিল তাই
বললে দাদু জোরসে হেঁকে,
"ওরে, কে আছিস, আয় না -
খোকনটাকে নিয়ে যা,
দেখছিস না নইলে আমার
অঙ্ক মোটেই মিলছে না। "


চিৎকারেতে ঘাবড়ে খোকন
ছুড়লে যখন হাতখানা,
কালিতে অঙ্ক ভরেই গেল
হেসেই দাদু আটখানা।
অঙ্কের কি মূল্য তা তো
এখনও তুই বুঝলি না,
মিলিয়ে দিলি সবকিছু তাই
একটুও তুই ভাবলি না।


বল্লে দাদু, "আয় রে আয়,
একটা তবে  গল্প বলি,
কেউ এলেই ফেলবে শুনে,
দাঁড়া দরজায় খিল তুলি। "
এই বলে দাদু দুহাত বাড়িয়ে
কোলে তুলে নেয় খোকনকে,
খাতা পত্তোর রইলো পড়ে
ছড়িয়ে যেমন রোজ থাকে।


(চলবে)