কেষ্ট কলির কথা বহুদিন ধরিয়া শুনি নাই তাই পদ্য লেখা বন্ধ হবে হবে বলা চলে,
সেদিন হঠাৎ দেখা!
আর তখনই মনে হইলো মশাই নিশ্চয়ই সঞ্চারনী মহাশয় হইতে সংকটে পড়িয়া উদিত হইয়াছেন।
কী আর করা এদিকে যদি জল ফুরাইয়া যায় সঞ্চারনী মহাশয় কে তো নিরাশ করিতে পারি না!
যাহাই হোক না কেন পিতৃহীন ধরনী তলে আপন বলিতে গেলে নিশ্চয়ই হুতুমপেঁচার নাম প্রথমে আসিবে না?
কেষ্ট কলি যাহা বলিবে তাহা যদিও আন্দাজ করিয়াছিলাম তারপরও -
নিয়মের ব্যতিরেকে নিজেরে না নিয়া সঞ্চারনী মহাশয়ের ইচ্ছা জানিতে চাইলাম?
কেষ্ট কলি হাসিয়া বিধান্গুলি নাড়াইতে নাড়াইতে আরাম কেদারায় বসিতে যাইবে!
হঠাৎ রহস্যময় দৃষ্টির আর্বিভাব ঘটাইয়া উদয় হইলো এক অজানা বিষ্ময়ের,
সেদিন ঘুমের বারোটা ঠিক মতোই বাজিয়াছিলো এটা বলার উপেক্ষা রাখে না।
আসলে অধিক স্রোতে সাঁতার কাঁটার ক্ষতিকর দিকগুলো সেদিনই প্রত্যক করিয়াছিলাম,
যাহাই হোক না কেন কেষ্ট আমার মূহুর্তের লাগিয়া ছাড়িয়া যাইবার পাত্র নহে?
কিন্তু ঘটনাটা চর্কির মতো ঘুরিতে ঘুরিতে যেন আমার দিকেই ফিরিয়া আসিতে লাগিলো,
কী আর করার ; যাহা ভাবিয়াছি তাহার ছিটেফোঁটা কোথাও দেখিলাম না?
হঠাৎ উপলব্ধি হইলো কেষ্ট আমায় ছাইড়া গিয়াছে আর আমি তাহাদিগেরই এক ফাঁদে আটকা পড়িয়াছি।
বিশ্বাস করিয়াছিলাম তবে তাহা ছিলো অন্ধ বিশ্বাস তাই সত্য দেখিতে পারি নাই!
পরিশেষে সঞ্চারনী মহাশয় নিকট সংকটে পড়িয়া আমি ঠকিয়া গেলাম।