একজন লেখক তখনই প্রকৃত লেখক হবে যখন সে লিখবে নিজের বিবেকের মাধ্যমে পাঠকের অন্তদৃষ্টি জাগানোর জন্য।পাঠকের মনতুষ্টির জন্য নয়।কেননা যে পাঠকের মনতুষ্টির জন্য লিখবে তার লেখায় কোন বিবেকের ছাপ থাকবে না।ফলে তাকে লেখক বলা যুক্তিযুক্ত হবে না।সে হলো প্রকৃতপক্ষে একজন শব্দ বিক্রেতা।সেই প্রকৃত লেখক যার লেখার মাধ্যমে পাঠক কিছু শিখতে পারে,নতুন কিছু জানতে পারে।আমি বলব না আমি একজন লেখক কেননা সে যোগ্যতা আমার নাই।তাই বলে আমি শব্দ বিক্রেতা নই।লেখকের ধর্ম বিবেকর মাধ্যমে লেখা মনতুষ্টির জন্য নয়।আমি চাই সবাই বুঝুক যে লেখালেখি দিয়ে কেবল পাঠক কে আনন্দ দিয়ে জনপ্রিয় হলেই সে প্রকৃত লেখক নয়।যে লেখার মাধ্যমে পঠক কে নতুন কিছু জানায় পাঠকের ভিতরের আত্মাকে জাগায় সেই প্রকৃত লেখক।
আমরা সবাই জনপ্রিয় মানুষের সাথে ফটোগ্রাফঅটোগ্রাফ নেওয়ার জন্য ব্যকুল থাকি।কিন্তু কখনও ভেবে দেখি না যার ফটোগ্রাফ অটোগ্রাফ এর জন্য ব্যকুল থাকি সে কি সত্যিই এ র যোগ্য?
ফটোগ্রাফ অটোগ্রাফ চাই? একজন শিক্ষকের নিন যে কিনা আপনাকে যার কাছ থেকে আপনার শিক্ষার হাতেখড়ি।কেননা সে এর যোগ্য।একজন মুক্তিযোদ্ধা যিনি যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে,একজন বীরঙ্গনা যিনি স্বাধীনতার জন্য নিজের সম্ভ্রম ত্যাগ করেছে,রিক্সাওয়ালা যিনি মাহনত করে পরিবারকে খাওয়ায়,হকার,মালি,টোকাই যারা অনেক কষ্ট করে আয় রোজগার করে তার বৃদ্ধ মায়ের জন্য ক'টা টাকা নিয়ে যায়।এদের ফটোগ্রাফ অটোগ্রাফ নিন কিন্তু আমরা তা করব না কেননা এতে আমাদের আত্নমর্জাদায় বাধে।আসলে আমর সত্যিটা মেনে নিতে পারি না যে,আমরা লেখককে নই লেখাকে ভালবাসি।তাই লেখক নিজের বিবেক বিসর্জন দিয়ে খ্যতি লাভের আশায় লিখে।পাঠককে ঠকায়।কিন্তু তাতেই আমরা খুশি।