শত শত দিবসের চেনা-জানা
আজ দেখিলে ভরা লজ্জায়-
মাথা নোয়ায় পাতালের পানে ।
কারণ তাহার বদনে একেছিলাম
অখিল সুখ তারেতে শিখে।
পিসঢালা পথে হেঁটে যেতে প্লাবনের
দোলায় তাহার মুক্ত মনের সঞ্চারিত
সুখ উড়িত কেশো ডগায়।
পুস্পের হাজার মালা গেঁথে অজস্র
রঙ্গিন বিদিশার নেশায় মেতে ছিল মনমালি
দেখা দিয়ে ছিল বলে রাজ পথের বোরকাআলী।


বেঁছে আমি, মোর অঙ্গনে ছড়ানো
অটল পর্বতের মনস্তাপ, নাই দিবা
নাই রাত্রি, ছুটছি আমি সমর যাত্রি।
নীর তাহার ভনিতা, ভীতি অম্বর
বনের হরিৎ হতে-মানবের কূলে যত দেবদাস
আজিকে গলায় তারই নম্বর।
বিষাদ গীতি গেয়ে হৃদয় তিমির
ফেলেছে মনের প্রতিটি কোণে,
শুচিস্মিতা মুগ্ধ প্রান, তবুও দুঃখু মোর একাহারী
হৃদয় গড়া দিয়ে জোড়াতালি
শত দিনে দেখা দিল রাজপথের বোরকাআলী।


আমি নৈশ্যর পর প্রভাতের পাথার
আমার বুকে অংশুমালী অন্তিম
যাত্রা করছে, শুকায়ে অঙ্গ
করছে ভঙ্গ তাহারে সঙ্গে নিবার।
যাহার নয়নে হাজার যুগের শান্তি
নিশীথির মায়া, মিহির সুখ-
আমি দেখেছি তাহারে, চেয়ে চেয়ে
তুবুও মোর দেখা পুরালো না, ভুলবো না
যে করিয়েছিল স্বপ্ন দুগ্ধ প্রান ধবলি
আজ ভুলে গেছে সেই রাজ পথের বোরকাআলি।