তিমির রাত্রি ভেদ করে আজ
জাগুক রবি পূর্বকোণে।
বটের ডালে পাতায়-ছায়ায়
লাগুক দোলা এই ক্ষণে।
আকাশ সাজুক
সাজুক রূপ-অপরূপ সাজে।
মেঘে মেঘে তার বীণা বাজে।
পত্রে-পত্রে পুলক শিহরণ.
নাচে প্রাণ-নাচে মন।
পাখির কন্ঠে হোক
নব প্রভাতের বন্দনা ॥


ওরে-
চারিদিকে আজ সাজ সাজ রব,
আলোক প্লাবনে উদ্ভাসিত পৃথিবী।
জীর্ণ জীবনের দুঃখ-গ্লানি ভুলে
চল করি পরম প্রেমময়ের স্তুতি ।
হোক আজ নবোদিত সূর্যালোকের
ঝর্ণাধারায় ধরণী শুচিস্নাত।
আজ ভেঙেছে দ্বার;
শার্দুলরাজ ছুটেছে চলে।
হিংস্রতা ভুলে প্রাণের মিলনে
বাঁধি চল, চল বাঁধি প্রাণের
মিলনে ॥


ওরে-
ওই দ্যাখো সেজেছে সাজ-
বৈশাখী সাজ;
তুল্ তুল্ ফুল-দুল দোলে
ঐ দ্যাখো রমণীর খোঁপায়।
লালপেড়ে সাদা শাড়ী, হাতে চুড়ি,
খোঁপায় ফুল, গলায় ফুলের মালা।
কি আশ্চর্য! কি আনন্দ, রূপ মাতোয়ারা।


ওরে-
দ্যাখ চেয়ে
কিশোরী লাগায়েছে ফুল
বেণীতে পোস্তা করে।
লাল জুতো পায়ে, জামা গায়ে
নাগরদোলায় চড়ে।
সার্কাস-বায়োস্কোপ,
কেমন পুতুলগুলো নাচে!
নকশী কাঁথার মাঠ, তালপাখা,
হাতপাখা, বিন্নিধানের খই,
পান্তা-ইলিশ, পেয়াঁজ-মরিচ
কত কি লোকে পসরা সাজায়ে লই।


ওরে-
বটের ছায়ায় লেগেছে হাওয়া
বৈশাখী ঝড় নামে।
বাউল-মারফতি, জারি-সারি,
মুর্শিদী আর ভাটিয়ালী টানে।
নব প্রভাতের বন্দনা আজ শুধু
সুর আর গানে ॥


মামুনুর রশীদ রাজ
১৩ই চৈত্র, ১৪২২ বাং
২৭ই মার্চ, ২০১৬ ইং