রামপালের অভিশপ্ত ভূমি থেকে
আমি রয়েল বেঙ্গল বলছি।
যেখানে রচনা করেছ আমার অন্তিম শয়ান।
তোমাদের হিংস্র অত্যাচারে
যেখানে আমি হারিয়েছি স্ত্রী-শৈশব-সংসার।
তোমাদের মতো আমারও একটা
শৈশব ছিল - সংসার ছিল।


শুনেছি-
তোমরা বুলেট বিদ্ধ হলে ট্রাইব্যুনাল হয় ।
বিচারক ফাঁসির রায় দেন মহাযজ্ঞে,
মাসব্যাপী শোকানুষ্ঠান হয়।
আমার পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করেছ,
তার জন্য কতটা ট্রাইব্যুনাল হয়েছে?
কতজন বিচারক ফাঁসির রায় দিয়েছেন?
জানি! দেননি। আসলে দিতে পারেননি।
তোমাদের হিংস্র থাবার ভয়ে
জল ছল ছল চোখে চিত্রা হরিণের মত
চুপসে গেছেন বিচারকরা।


জানো-
প্রেস ক্লাবে আমার অনেক বন্ধু ছিল।
ওরা রোদে পুড়ে- বৃষ্টিতে ভিজে
তোমাদের পেটোয়া বাহিনীর শাসন সয়ে
আমাকে বাঁচাতে চেয়েছিল।
কারণ আমি বাঁচলেই তো বন বাঁচবে।
মূলত আমাকে নয়,
তোমাদেরই বাঁচাতে চেয়েছিল।
কারণ ওরা জানত,
রামপাল হবে মৈত্রী মৃত্যুফাঁদ।


লজ্জা হয়!
তোমরা আমাকে হিংস্র বল।
আমি হিংস্র হলে
তোমাদের বুলেটে আত্মাহুতি দিতাম না ।
বন্ধুবর তোমাদের ভয়ে পালাতো না।
আলো জ্বালবে বলে
শত আলোকে আঁধারে ঠেলে
তোমরা গড়েছ মৃত্যুফাঁদ।


চেয়ে দ্যাখো-
অভিশপ্ত ভূমি ছুঁয়ে
গল গল করে বেরোচ্ছে
সাড়ে তিন মিলিয়ন টন বিষবাষ্প।
তোমরা নিষ্ঠুর! বড় নিষ্ঠুর!
ভাবতে অবাক লাগে
তোমরা আমার চেয়েও।।


                                        মামুনুর রশীদ রাজ
                                      - ১১ ভাদ্র , ১৪২৩ বাং
                                      - ২৬ আগস্ট, ২০১৬ ইং