রাত: ০১:১২ মিনিট
শেষ পৃষ্ঠায় কিছু লেখা হয়নি,
তাই কলম হাতে নেয়া ৷
প্রেয়সী যে রাগী অনেক
তা প্রথম দিন কথা না বললে
বুঝতে পারতাম না ৷
একটু বেশিই অবাক হই,
আমিও কম নই ৷
প্রেয়সীর সৌন্দর্যের প্রসংসায়
আমি বিভোর ৷
মিথ্যে বলার কিছু নেই
ভালবাসতাম,
এখন ভালবাসি কিনা জানি না৷
মাঝ রাতে, কোন একটি দিন অথবা
হেমন্তের শেষ বিকেলে ৷
বর্ষার শেষ প্রহরে৷


আমি যেন ছোট্র শিশু,
প্রেয়সীর কাছে আবদার করলে
রাখার চেষ্টা করত,বুঝতাম৷
আমিও কিছু মেঘ এনে বৃষ্টি ঝরিয়ে
ভিজিয়ে দিতাম প্রেয়সীর
কুসুম কোমল হৃদয়৷
দুষ্টু মিষ্টি ঝগড়া লেগেই থাকত,
প্রেয়সীর মন বুঝতে কষ্টই হতো
যেন গনিতের জটিল সমীকরন,
তাইতো রাখতে পারিনি
হাত দুটো আমার হাতে ৷
আজও মনে পড়ে,
প্রথম যেদিন দেখি প্রেয়সীকে
যেন সদ্য ফোঁটা রজনীগন্ধা
যার সুবাস এখনো চারদিক ৷
প্রথম প্রেয়সীর হাত ধরা,
আলিঙ্গনে চুম্মন, ভয়ের শিহরন৷
এযেন অতৃপ্ত ভালবাসা
যা চলতে থাকুক হাজার বছর৷


প্রেয়সী জায়গা করে নিয়েছিলো
আমার পাঁজর জুড়ে,
যখন তার বাহু দিয়ে
শক্ত করে বেধেঁ রাখতো
তখন আমি বোকা,
অবুঝ শিশুর মত বিলিয়ে দিতাম
নিজের অস্তিত্ব কে ৷
ভালবাসা ছাড়া কিছুই দিতে পারিনি ৷
জোর করে পাবার সাহস
হয়ত হয়নি প্রেয়সীর,
পাবার আকুল আকাংক্ষা
বাস্তবতার কাছে হার মেনে
ডুকরে কেঁদেছে,ভিজিয়েছে কাজল ৷
সহজে তাই হারিয়েছে কালের স্রোতে৷
মাঝে মাঝে কান্না করতো
অবুঝ শিশুর মত,
এযে ছিল হারানোর ভয়
তাই চোখের জল চোখে থাকতো না৷


এখন হয়ত সব মানিয়ে নিয়েছে
অন্য কারও বুকে মাথা রেখে
গভীর ঘুমে আগামীর স্বপ্নে বিভোর  ৷
এই হাতে যে প্রেয়সীর হাত ছিল
এই ঠোঁটে ছিল প্রেয়সীর চুম্মন
শরীর যে অনুভব করে তার স্পর্শ
তার কথা ভাবি দিন-মন
সে জানেই না ৷
তার জন্য কলম ধরেছি কতবার
কতবার পুড়েছি তপ্ত রোদে
কত রাত পার করেছি জেগে জেগে ৷
তোমারও কি মনে পড়ে কিনা জানিনা
আমার মনে পড়ে,তোমার ঠোঁটের স্পর্শ
তো আমার ঠোঁটে,
সেই স্বাদ এখনো অম্লান ৷


কোন একদিন;
তোমার ও মৃত্যু হবে,হবে আমারও
হবেনা শুধু ভালবাসার,
ভালবাসা থাকবে
প্রতিটি শিশির ফোটায়৷
ফুলের সুবাসে,সন্ধ্যার বাতাসে৷
যেমন অাছে আমার নিশ্বাসে