ঘুমন্ত এই হর্যক্ষ'কে
তোরা জাগাইস নে,
আড়াল ভেঙে হে ভেঁড়ার পাল
দে উপেক্ষা দে!
প্রহসন আর দোচ্চোরিতে
করিস না সন্ধি,
গরীবের ধন লুটতে তোরা
আঁকিস যত ফন্দি?
হুশে এলে প্রাণটা কেড়ে নেবো তোদের তীক্ষ্ণ আঁচড় হিংস্র থাবায়
পাটাতনে বক্ষ ছেদন হানবে আঘাত ঝাঞ্জা রূপে খুন উপত্যকায়-
নিরীহ এই জনতাকে
এবার মুক্তি দে,
আর কতকাল দিন কাটাবে
হীন নিরানন্দে?
আছিস যত রাঘবগোয়াল
দ্বেষ দ্বিধাদ্বন্দ্বী-
আদম রূপি বন-জানোয়ার
রক্তে ডের সন্ধি।
তোরা বড্ড স্বার্থন্বেষী স্বার্থসিদ্ধিই মাতিস অহর্নিশি বর্বর দাঙ্গায়,
কত তাঁজা প্রাণ হারাবে জননীর বুক ভাসাবে স্বজনহারা কান্নায়?
ক্ষতস্থানে নুন ছিঁটাস নে;
দুর্বল যখন উঠবে জেগে ধুমকেতুর ঐ ঢেঁকর তোলে-কিছুতেই দমবে না
বর্ম হাতে ধশ নামাতে স্বৈরাচারির রক্ত চক্ষুকে কখনোই ডরবে না?
দলবে দস্যু পায়ে দলবে!
বঙ্গ মায়ের দামল ছেলে রণাঙ্গনে লড়বে জয় ছিঁনাতে
দলবে দস্যু পায়ে দলবে!
লক্ষ্য জয়ে দৃঢ় প্রত্যয়ে,হিম্মতে সে লড়বে বীরের বেশে কাল তরঙ্গে,
নামবে রণে শপথ করে!
খুন রাজত্বের-বিনাশ তরে?
অতর্কিতে ফেলবে পা-
খুন তৃষিত বক্ররেখায়
দেখাবে'রে উপেক্ষা?
যুদ্ধ ক্ষেত্রে এক হয়ে সব
অরাজকতা ডঙ্গে,
সিংহের গর্জন হেঁকে উঠবে
কোটি প্রাণ এক সঙ্গে?
আমাদের খুন ঘামে বেশতো আছো খোশ প্রমোদে নারী,মদ্য পিয়ে
আমরাও তো রয়েছি মোক্ষম ক্ষণের অপেক্ষায় বুকে বারূদ নিয়ে?
হিমাগারে ঘুমিয়ে!
আমাদের সেই পূর্ব পুরুষ মুক্ত হবার তন্ত্র মন্ত্র গেছেন শিখিয়ে!
কিভাবে ঐ মৃত্যু সাগর যেতে হবে পেরিয়ে!
ঘুমন্ত এই দেশ জনতার নিদ্রা ভাঙিস নে!!