বিদিশার এক অন্ধকারে নিমজ্জিত দেশ-জনতার ত্রিকাল!
স্বাধীনতার দ্বার ফটকে বিনাশে আজ তাক্তলজ্জ বাকশাল?


যুদ্ধ শেষে আটচল্লিশে স্বাধীন দেশে চলছে হিংসা বিদ্বেষ
কালেরস্রোতে ভাসছে জাতি-সুখ শান্তি আজ নিরুদ্দেশ!


ত্রিশ লক্ষ প্রাণ দিল মা-বোনের সম্ভ্রম স্বাধীনতার আশায়
আজকে দেখি স্বৈরাশাসক স্বদেশ ত্যাগে মোদের সাশায়!


কোথায় আছিস সুর্যি সন্তান আয়রে তোরা নিপাতে সব বাকলে
নিজের চাষে মুখ না দিয়ে পরের শস্যে ডেকর তুলে স্বজাতি ছাগলে।


ব্যাংক ব্যালেন্স পূর্ণ ধনে তবু ওরা ঈর্ষাকাতর পর সচরাচর
আজ জালিমের ধ্বংস টানি স্বদেশ থেকে করি জুলুমেরানান্তর;


মানুষ রুপি নরপিশাচ বন্যপশু ওদের অন্তরচক্ষু পূর্ণ কাদায়
খুন খারাবি আর জনতার বাকস্বাধীনে ফাকা গর্জন হাকায়!


রক্তে কেনা স্বাধীনতা নিয়ে খেলায় মাতে ওরা নিছক বিদ্রুপ
ঘরের কোণে রইবি কত চুপে জ্বলসে ওঠ মিটাতে মনোক্ষোভ।


বীরের বেশে ফের জাগরে কাঁপাতে খডগের ঐ পৃথ্বীরাজ
মৃত্যুতে বীর পড়েনে শ্রেষ্ঠত্ব সম্মানী উপহার বীরত্বের তাজ!


জাতি-ধর্মে যে জন মরে সেই জন চির অমর ইতিহাসময়
এইতো জীবন অনাদিকাল এমন ভাগ্য বলো কজনার হয়।


আয়রে তোরা অবিচারে আজি লড়ি মুক্তিদানে বাকস্বাধীনের
বাঁধ ভাঙার আওয়াজে আজ শপথ করি সঙ্গ ধরি বিদ্রোহের!