আমি-নিশি জাগা পাখির করুণ হাহাকার
         বুকে বাজা আত্মাদের রোল,
আমি-অবিরত বয়ে যাওয়া সমুদ্রের ঢেউ
          কোলাহলে মহা কল্লোল।


আমি-নিপীড়িত জনমনে রোধের ক্রন্দন
         কণ্ঠে দুর্ভিক্ষের মালা,
আমি-উন্মাদ মত্ত পাগল ভবঘুরে নিবাস
         চুর্নি অরাজ নাট্যশালা।


আমি-নদীর বুকে জাগা প্রাণ নাশী এক
         হিংস্র মৃত্যু চোরাবালি,
আমি-আধাঁর যুগের আদি শ্রেষ্ঠত্ব বীর
        মমিন খোদার হযরতে আলী।
        
আমি-লক্ষ প্রাণের রক্তে রাঙা নিশান
         বিশ্বে বুকে উজ্জ্বল গৌরব,
আমি-বীরের হাতে গর্জে এক তলোয়ার
         শত্রুর বুকে করি তান্ডব।
    
আমি-মৃত্যু জয়ী মহা যোদ্ধা মৃত্যুর
        সামনে দাঁড়ায় বদির হেসে,
আমি-কলম সৈনিক মুক্ত মনা আপনা
         খোশে ছুটি বীরের বেশে।


আমি-বর্বর রাজ্যের এক মহা ত্রাস
         জ্বালাময়ী অন্তর,
আমি-সর্বহারা এক বৈরাগী পথহারা
         দৈন্য নৈশ্যাযাবর;


আমি-দুর্বার অসীম বীরত্বে বাহাদুর
         পায়ে পিষে যায় সব মন্দরে,
আমি-তীব্র জ্বলা এক লেলিহান শিখা
         জ্বলি অরাজকতার বন্দরে।


আমি-অসীম পথের যাত্রী সাহসী বীর
         যোদ্ধা কাপিয়ে দিই শত্রুর অন্তর।
আমি-সিংহ বন্য রাজা সবে আমার প্রজা
         এক হুংকারে তুলে যায় ঝড়।


আমি-রণাঙ্গণের সর্বকালের শ্রেষ্ঠ যোদ্ধা
         জীবন যুদ্ধ ক্ষেত্রে মহা দুর্জয়,
আমি-দুস্থের পরম বন্ধু নিকটস্থ আত্মীয়
         আধাঁর ধরার বুকে নব সুর্যাদয়।


আমি-শব্দ বোমা শেখের ভাষণ প্রতিবাদী
         মৃত্যুজয়ী মরনে নেই ভয়,
আমি-দুর্দম, অসীম, নির্মম বড় পাষাণ যত
         স্বৈরাচারী শাসক গোষ্ঠীর ক্ষয়।
  
আমি-সত্যের কাছে নত হওয়া গোলাম
         বিশ্বের অধিপতির অনুসারী,
আমি-অপশক্তির যত অন্যায়—জুলুম
         অবিচারের রাজ্য ধ্বংস কারী।


আমি-অভিশাপের জ্বলন্ত নীল আগুন
         অনন্তকাল ধরে জ্বলছি,
আমি-জালিম শাহীর শাষণ শোষন
        উপেক্ষাতে প্রহর মলছি।


আমি-ভুল নক্ষত্রে জন্ম নেয়া
         গহীন কুজঝটিকায়,
আমি-ক্রুদ্ধ, নির্গুন ধ্বংস মৃত্যু
         ফুলকি কুম্ভলকায়।


আমি-আপনা সুরে তালে মাতাল
         ছুটে চলি সদা হেলে দুলে,
আমি-রক্ত রাঙা ফোটা গোলাপ
         শোভা মেঘ বালিকার চুলে।