বিনায়েক!
মুষ্ঠি খুলুন!দ্বীন ব্যতয়ে বধির কেনো এবার জাগুন ক্রোধ কর্তনে মরুৎ খুন উপত্যকায়!
চক্ষু মেলুন হীন বর্বরে আর কতকাল ন্যস্ত অধীন বিকল বিধুর মহিরুহে নিস্তেজ দাঁড়ায়?


হে বিনায়েক!
নিদ্রা ছাড়ুন-ঐ নির্বোধে মহাপ্রস্থান সংঘাত হানুন বিচুর্ণে ফের আশু রিপু কাল আগত;
গর্জে উঠুন মূল বিদ্রুপে প্রত্যয় গড়ুন তারুণ্য ত্যাজ বহ্নিনালে বিদগ্ধ হোক খুন-রাজত্ব।


ভগ-কৃষ্ণের কু-সুত ব্যগ্রকারে যখন উগ্র হয়ে ব্যস্ত মজসিদ ভেঙে মন্দির গড়ায়;
আপনি তখন শিষ্টাচারের পন্থা খোঁজতে কোরান ঘাঁটেন জন-নির্জনে ধ্যানমগ্নতায়!


হে বিনায়েক!
চেয়ে দেখুন!ঐ জেগেছে দ্বীনই দুশমন অন্ত গোত্রী ঋষভ রূপে সংহারকে ত্রিদিব ঘাঁটি-
ধাতৃর বিধান ধূলিসাতে সাম্যের বাণী নমরোদ নন্দন উঁকি আঁকে পূনঃজন্ম আশ ভেদ্যে মাটি।  


হে বিনায়েক!
আদেশ করুন-যুদ্ধে যাবার হিম্মত জোগান খুন পিপাসুর সৌখিন বিলাসখানা ভেঙে করি চুরমার,
বীরত্বে শের উর্ধ্বে পৃথ্বীর মহাবিক্রম কুরুক্ষেত্র ধ্বংসী  সৈনিক বিজয়ী রাজ-বর্বরতার?


সম্মান হানি দ্বীন ইসলামের বহির্বিশ্বে মুসলিম নিধন লিপ্ত হরদম পশ্চাৎ নব্য এজীদ গণে,
নিপীড়নের হাহাকারে কাঁদল আকাশ রক্তস্রোতে ভাসল সিন্ধু আপনি তখন বৃন্দাবনে!


হে বিনায়েক!
আরাব হাকুন-শের সিংহের ন্যায় শির উঁচিয়ে ঘুরে দাঁড়ান রফার ভয়ে কাঁপুক বেদ্বীন কাফির যতো,
স্বৈরশাসকের যুগ-হিমাণীর গহ্বরে আপনি কেনো দাস-শিকারে বেঁচে থেকেও জীবন্মৃত?


অভিনব তন্দ্রার কায়দায় শয্যাকক্ষে আপাদমস্তক কাঁথায় মোড়িয়ে ঘুমান তখন নাকটি ডেকে,
আমরা ভীষণ ভেঙে পড়ি আপনি যখন নিরুৎসাহি রণাঙ্গনে এই আমাদের পতন দেখে?