[এক ]


পুষি বিড়াল বেজায় খুশি
হয়ে বাড়ির কর্তা,
প্রতি দিন তিন বেলা
খায় সে ইঁদুর ভর্তা।


বিল্লি যখন ম্যাঁও ডাকে
কাঁপে ভয়ে ইঁদুর সব,
চুপ চাপ থাকে সদা
নেই কোন কলরব।


একটুখানি কচ্‌ মচ্‌
শব্দ কোথাও হলে পরে
মাথায় তোলে বাড়ি-ঘর
কাঁপিয়ে তার হুংকারে।


ধরে ধরে ইঁদুর গুলোর
অমনি ঘাড় মটকায়,
মজা করে ভাজি করে
কুড়মুড়িয়ে হাড় খায়।


বিড়ালের অত্যাচারে
ইঁদুর গুলোর বাঁচা দায়
নিরীহ ইঁদুরেরা-
অসহায় নিরুপায়।


সব ইঁদুরে জোট বেঁধেছে
শপথ নিয়ে এক সাথে
বাঁচার মত বাঁচতে হলে
লড়তে হবে রাজ পথে।


আসলে আসুক বাঁধা শত
নেই কোন ভয়, কি বলো ?
মরার আগে মরার চেয়ে
হোকনা মরন, সেই ভালো !


[ দুই ]


এবার -
ইঁদুরেরা দেখলে বিড়াল
দল বেঁধে সব আয় তেড়ে,
ল্যাজ কামড়ে কেউ ঝুলে থাকে
গোঁফ টেনে কেউ দেয় ছিঁড়ে।


কানটা কেউ কামড়ে দেয়
থেঁতলে দেয় নাকটাও,
একলা বিলাই করবে কি যে
ডাকতে থাকে ম্যাঁও ম্যাঁও।


যবে থেকে শুরু হলো
ইঁদুর গুলোর উৎপাত,
বন্ধ হলো পুষি বিলাই'র
খাওয়া রোজ দুধ-ভাত।


ইঁদুর গুলোর উৎপাতে
বিড়াল শেষে গাঁও ছাড়া,
কুকুরটাও ভয়ে মরে
কখন বুঝি খায় তাড়া


বন্দর, চট্টগ্রাম
২৭, আগস্ট ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দ