আমাদের প্রেমের বয়স হিসেব করলাম।
পাঁচ বছর চার মাস তেইশ দিন হয়ে গেলো।


দিনের গতি কত দ্রুত, তাইনা বুড়ি?
এই তো  সেদিন কথা হলো,দেখা হলো।
ভালোবাসা বাসি হলো,ঝগড়া হলো।
আর আজ-
পাঁচ পাঁচটি বছর হয়ে গেলো।


আমাদের সম্পর্কে কত রঙ দিয়েছেন উপরওয়ালা,
কত ঢেউ দিয়েছেন,কত দিক দিয়েছেন, তাইনা?


এই যে আমাকেই দেখো!
তোমার সাথে মেঘের ছায়া দেখবো বলে-
রোদ উঠলে ঘরের কোণেই পড়ে থাকি।
একলা যখন হাটি,তখন আকাশ দেখি না।
তোমার সাথে দেখবো  বলে।


একলা আমি পাহাড় দেখি না,সাগর দেখি না।
নদী দেখি না,সবুজ দেখি না আর ফুল দেখি না।
শুধু তোমার সাথে দেখবো বলে।


হ্যাঁ গো! তোমার মনে আছে?
তুমি বলেছিলে আমায় দার্জিলিং দেখাবে।
সেই যে পদ্মপুকুরটা দেখাবে বলেছিলে।
তার পাশের পাহাড়,অরণ্য আর সবুজ ঘাস।
ওখানকার ঘাসেও কি ঘাস ফড়িং লাফিয়ে বেড়ায়?


আর বলেছিলে আমায় আগ্রার তাজমহল দেখাবে।
শাহজাহান মমতাজের ভালোবাসার নিদর্শন তাজমহল।


হ্যাঁ গো!
বলতে পারো তোমার আমার ভালোবাসার নিদর্শনটা কোথায়?
জানো না বুঝি! বেশ! বাদ দাও ও কথা।


ভালোবাসার বয়সটা লিখে রাখি।
পাঁচ বছর চার মাস তেইশ দিন।


সেদিন তুমি যখন বললে -
আমি নির্বিকার শুনে গেলাম।
এক ফোঁটাও অশ্রু ঝরাইনি।


তুমি এক নিঃশ্বাসে বলে গেলে পুরোটা।
ডাক্তার তোমায় তিন মাসের সময় বেঁধে দিয়েছেন।
তিন মাস পর তোমার নাকি প্রয়াণ হবে।
মহাপ্রয়াণ!


আমার আবেগের কথাটুকু লুকানো থাক।
কান্না আর ব্যথার লাইন ক'টি মুছে দিলাম।


মেঘের ছায়া কি তবে অদেখাই রয়ে যাবে?
আর দার্জিলিং, পদ্ম পুকুর, পাহাড়, সবুজ?


তাজমহলের সামনে দাঁড়িয়ে কিংবদন্তি সেই-
শাহজাহানের প্রেমের গল্প করবে না?


না গেলে হয় না বুড়ি?
যাবে যাও,কে বেঁধে রেখেছে।
তবে যাবার আগে পাঁচ বছরের স্মৃতিগুলো মুছে দাও।
ভুলিয়ে দিয়ে যাও সব কথার কথকতা।


----------*******--------