শূন্যের ওপর আরেক বিরাট শূন্য আছে,
তোমরা তাকে আকাশ বলে জানো।


ওই যে দেখো নীল নীলিমার ওপার!
এখান থেকে আলোকবর্ষ দূরে,কিংবা আরো বেশি।
সেথায় আমি থাকি।


মাঝে মাঝে ফিরে ফিরে আসি।
হয়তো কোনো নাম না জানা পাখি,
কিংবা কোনো জলের প্রাণী হয়ে।


আমি আসি ফিরে ফিরে ফিরে,
ব্যাঙের ছাতার ওপর আলোর ছটা হয়ে,
দূর্বা ডগায় শিশিরকণা কিংবা-
বুড়ো বটের কালো ছায়া হয়ে।


মাঝে মাঝে ভাল্লাগেনা যখন,
তখন আমি নূতন শিশুর কান্না হয়ে ঝরি,
ঝর ঝর   ঝর ঝর   ঝর,
শাওন মাসের বৃষ্টি হয়ে ঝরে ঝরে পড়ি।


কখনো হই ধূ ধূ বালুর ওপর-
ফণীমনসার হলদে ফুলের রেণু।


কিংবা হয়ে সকাল বেলার মৃদু-
চাদরমোড়া মিষ্টি রোদের ছোঁয়া।


গোধূলির ওই ভুবনজয়ী ক্ষণে,
সূর্য্যি যখন মর্ত্যে আসে নেমে,
আমি তখন তাকিয়ে থাকি শুকনো কাদার ওপর,
নির্বিষ এক দাঁড়াশ সাপের রূপে।


আমি হলাম মাঞ্জা দেয়া সুতা ছেঁড়া ঘুড়ি।
আমারে কেউ চিনতে পারে না'ক।
আমি হলাম  মুক্তি, শিকল ছাড়া,
বিরাট শূন্যে করি উড়া উড়ি।


------****------
তারিখঃ ২০/০৭/২০২১ইং
সময়ঃ০৬:০০ঘটিকা/মাওয়া