নারীর প্রতি
রেদুয়ান রায়হান


ভালবাসার বীণার তারে যাকে ঘিরে সুরের তান
জন্মভূমির বুকের উপর আজ তাহারই অপমান,
মা হয়ে যে জন্ম দিল, বোন হয়ে যে স্নেহ
তাদের তোরা কি দিলি রে বলতে পারিস কেহ?
যে মাটিরে মা ডেকে হায় লক্ষ শহীদ দিল প্রাণ
সেই মাটিতেই দেখছি আমি আমার মায়ের অপমান।


আপনজনের আদর ভুলে যে গেল রে তোর ঘরে
অর্থলোভী পিশাচ রে তুই তারেই দিলি পর করে,
যেই ললনা অন্ধ আশায় দিল তোরে হৃদয় তার
নির্যাতনের চাবুক হাতে তুই দিলি রে ব্যথাভার।


এই মেয়ে তুই ধুয়ে ফেল আজ
              মেহেদী মাখা কোমল হাত
সেই পিশাচের চাবুক কেড়ে
              দ্বিগুণ বেগে কর আঘাত।


যেই কিশোরী সরল মনে চপল হাওয়ায় উন্মাতাল
তাহার পথে ভন্ড রে তুই ফেললি রে কোন জটাজাল?
যেই না হৃদয় স্বপ্নমাখা আলোর টানে ছুটতে চায়
নষ্ট মনের ভণ্ডামিতে সুর খুঁজে সে যন্ত্রণায়।


এই মেয়ে তুই বদ্ধ ঘরে
           করবি না আর আর্তনাদ
পা হতে তোর জুতো খুলে
           ঐ পশুদের কর আঘাত।


নতুন দিনের আহবানে যাহার চোখে অভিলাষ
তার জীবনে তুই যে শুধুই অন্তহীন  এক দীর্ঘশ্বাস।
যেই মানবী বয়ে চলে একটি আলোর দ্বীপশিখা
লালসার আগুন যত আকে সেথায় শবরেখা।


এই মেয়ে তুই মরবি কেন
          দীর্ঘ করে আধার রাত
মিথ্যে লাজের খোলস ভেঙে
          বেজন্মাদের কর আঘাত।


সর্বনাশের খেলায় যারা দিল তোরে বিষছোবল
অপরাধের পাথরচাপায় সেই পাপীরা হীনবল।
প্রতিশোধের মধুর নেশায় মেতে উঠার এই সময়
দুর্জনেরে হানতে আঘাত তোর বুকেতে কিসের ভয়?
অন্ত:পুরের ললনারা নে বুঝে তোর ভাগ
লক্ষযুগের নিদ্রা হতে জাগ রে এবার জাগ।