গোটা দশেক দশক পর,
উদ্দাম মাঠের উপর-কোন এক মাচায় শুয়ে
রাতের একলা চাঁদের সাথে গল্প জুড়ে দিবো,
আঁধারকণা রাঙিয়ে,তখনো তুমি আসবে না জানি।


ইটের আড়ালে শত খুঁজে;অবশেষে-
কোন এক বিস্তীর্ণ ভূমে কিংবা এক কিনারে মরা নদীর-
যদি মেলে শরতের শেষ কাশফুল অথবা শালিকের নীড়,
সেই শরতের শেষে,তখনো তুমি আসবে না জানি।


ধূসর বিবর্ণ মেঘের আকাশ দেখে,
যদি মনে লয় হৈমন্তিক গান;সুরে সুরে গেয়ে যেতে।
নির্বাসিত মনের তাল-লয় হীন সে গান শুনে-
মুচকি হেসে,তখনো তুমি আসবে না জানি।


গাছিহীন বিনা আঁচড়ের খেজুর গাছের তলায়-
যদি স্বাদ জাগে ক্ষণিক অমৃতের।
হাড়কাঁপা কালেও যদি সে স্বাদ উপভোগ্য না হয়-
সেই বিষম শীতে,তখনো তুমি আসবে না জানি।


হটাৎ যদি বহুকাল পরে শুনি-
কোন এক জীর্ণদেহী কোকিলের কুহুকণ্ঠ।
নিটোল চোখে খুঁজি কিংবা ডাকের অনুকরণ করি-
সেই উল্লাসীত ক্ষনে,তখনো তুমি আসবে না জানি।


উষ্ণ গনগনে ধূলিময় দুপুর,
রক্তিম আভার গোধূলিচূর্ণ বিকেল,
নির্বাসিত রাত কিংবা অনাকাঙ্ক্ষিত ভোর সহ-
শত শতক পেরিয়ে যাবে,তবু তুমি আসবে না জানি।
কিন্তু একেরপর এক শতাব্দী পেরিয়ে আমি ঠিকই চেয়ে রবো।


৩০ শ্রাবণ ১৪২৭ || ১৪ আগস্ট ২০২০ || শুক্রবার
                          নারায়নগঞ্জ