আকাশ তার বুক ভরা কান্না দিয়ে ,
মাতিয়ে তুলেছে ধরণী।
প্লাবনের সীমানায় নদের উত্থিত বুক নিয়ে
জাগিয়ে তোলেছে সবুজের সমারোহ।
মাটি গন্ধ ভেসে বেড়ানো হাওয়ায়
ছিটিয়ে পরা প্রতি কনায় জীবনের বীজ
গেঁথে গেছে হৃদয় মাঝে ,
রুক্ষতার বিষবান হয়ে শীতল পরশ নিয়ে।
আজ প্রাণ ফিরে পেয়েছে ধরনী।
ঘাসের ডগায় বসা নীল ফড়িং ,
নূপুর পায়ে ধেয়ে আসা অনাথ কিশোরী ,
কাঠঠোকরার নরম কাঠে অবিরাম আঘাত,
গগন কাঁপানো হুঙ্কার আজ
মৃত্যুকে বিদায় দিয়ে প্রাণ এনেছে ধরায়।
আজ প্রাণ ফিরে পেয়েছে ধরনী।
কালো আকাশের কোল বেয়ে ,
উড়ে যাওয়া সাদা বক
যেন বলছে আমি আজ বাঁধন ছাড়া।
মাছরাঙার ঠোটে আজ ,
জীবন্ত মাছের স্পর্শ।
আজ প্রাণ ফিরে পেয়েছে ধরনী।
প্লাবনে আজ ধুয়ে গেছে রুক্ষতা ,
নিজের সাথে আজ তর্কে লিপ্ত।
আমি এক অন্য মানুষ ,
আমি বাঙালী
প্রতি বর্ষায় জীবন ফিরে পাই।
আজ আমার সাথেই-
প্রাণ ফিরে পেয়েছে ধরনী।