আমরা কি পারি না-
একটা বীজ বুনে যেতে আগামীর জন্য?
যেন প্রজন্মের জয় ধ্বনিতে বাধা না আসে।
যেন আকাশ ছুঁতে না পারে কালোরঙ!


এখন কি সময় নয়-
আগামীকে উপহার দেওয়ার?
একটি সবুজ উজ্জ্বল পৃথিবী।
যেনো উপভোগ্য হয়ে ওঠে সকলের তরে!


আজ থেকে কেন নয়-
সাজানোর শুরু নিজের বাড়ির উঠান হতে?
যেমনটা সাজিয়েছে আমাদের পূর্বপুরুষ।
আলোয় আলোয় রাঙানো এক নতুন পৃথিবী!


আমরা কী তাদের জন্য রেখে যেতে পারি?
এই নোংরা সমাজের চিত্র।
যেখানে খুন রাঙা পথে হাটতে হয়,
চোখ বুজে সহ্য করতে হয় নিপীড়ন!


রাস্তার কোলাহলে হটাৎ আগুন ওঠে-
জুতো ঝুপঝুপ করে ভিজে ওঠে রক্তে।
যেখানে হিংসা-বিদ্বেষ,হত্যা,জখম,ধর্ষণ বলিহারি-
বাতাসে ভাসে পোড়া রাজনীতি,
বস্তাপচা সংলাপের মতো;নিত্য নতুন আশার আলো।


এক শাশ্বত প্রণয়ের মতো-
রেখে যেতে চাই এক নব পৃথিবী।
যেখানে অত্যাচার নিপীড়ন থেকে মুক্ত,স্বাবলম্বী
সমুন্নত জাতিগত পরিচয়ে বেড়ে উঠবে-
আমাদের ফুটফুটে খোকারা।
ওদের জন্য রেখে যেতে চাই নির্মল বায়ু।


যারা গড়ে উঠবে অসাম্প্রদায়িক আত্মপ্রত্যয় নিয়ে,
গড়ে উঠবে অহিংস বিদ্যানুরাগী জাতি হিসেবে।
বলিষ্ঠ হাতে রক্ষা করবে রুখে যাওয়া চলার পথ।
যারা কম্পিত বুকে হুংকার দিবে শকুনের দিকে।


তাদের জন্য আমাদের আজকের এই পণ,
শুরু হোক এক অভিযান-
হাতে হাত মিলিয়ে রুখে দিবো বিষদাঁত।
জয় আনবো বলে,এই অভিযান হোক আমরণ।


৯ ফাল্গুন ১৪২৬
নারায়ণগঞ্জ