শুষ্ক একটি বিকেল,শান্ত নিরবধি,
রক্তের উষ্ণতা শুষে নিচ্ছে-
কার্তিকের পোড়া বাতাস;সাথে জুড়েছে
ভেসে আসা খণ্ড কয়েক দূরদেশী মেঘ।


চিরচেনা বন্ধুদের রোজকার আড্ডা,
লোকালয়,সমাজ-সংসার ছেড়ে-
অতি স্বন্তপর্নে সবার আড়ালে
চলে যেতে চাই তেপান্তরের দেশে।


হয়তো সেদিন ঘুমাবো রঙিন-
স্বপ্ন চোখে;ছুটে যাবো বহুদূর।
কোলাহল আর জঞ্জালপূর্ণ বিস্তর -
পথ ছেড়ে;স্বর্গীয় উদ্যানের পথে।


হাজারো রঙ-বেরঙের প্রজাপতি পাখা মেলেছে
মুক্ত নির্মল বাতাসে;পাশে বয়ে
চলে টলটলে দুরন্ত নদীতে-
পাল তোলা ছোট্ট সোনার তরী।


পাকা আমনের ঘ্রান নাকে আসে,
ছুটে চলি তায়;দোল খায়-
বাতাসের তালে তালে মাঠ জুড়ে,
হাজার স্বপ্নে মাখা সোনার ফসল।


হয়তো নিজেকে দেখবো কোনদিন,
কূলবধুর হাতে নবান্নের পিঠা পুলির-
সেরা স্বাদটুকু নিতে;সাথে ধোঁয়া উঠা
চুলোর উষ্ণতা চোখ ঝাঁঝিয়ে ভিজে যাবে।


হয়তো কোনদিন  সাঁতার কাটবো,
জীবনানন্দের জলাঙির ঢেউয়ে-
শিশুদের সাথে বাজি ধরে,
ডুব সাঁতার কিংবা ছোঁয়া-ছুঁয়ি।


আবার হয়তো মায়ের মারের ভয়ে,
লুকিয়ে যাবো জসীম উদ্দিনের
ছোট্ট পল্লী গায়ে;যেথায় হয়তো জীবনানন্দ
শালিক কিংবা শঙ্খচিলের বেশে।


এই বাংলায় লুকিয়ে যাবো আমি,
মায়ের ভয়ে কিংবা অবাধ্য ছেলের-
খেলার ছলে;নদে বা ঝোপঝাড়ে,
মমতাময়ী রূপসী বাংলার ভিড়ে।



১২ আশ্বিন ১৪২৬
নারায়ণগঞ্জ