চুপসানো ফুসফুস গাত্র যেদিন বাতাসে সিক্ত হলো-
জগত কাঁপা সেই কান্নারত আমি;চোখ মেলে দেখেছি কিছু হাসিমুখ!
দেখেছি মায়ের ঘর্মাক্ত দেহ,
চোখের নোনাজল দাগ,অঝোর অবিরাম।


পাতলা কাঁথায় মুড়ে কত হাত ঘুরে ফিরে বর্ধিত হয়েছি,
ভাই-বোন অথবা আত্মীয়-অনাত্মীয় এমনকি পারিবারিক আততায়ীর হাতে-
শত আদর-উল্লাস হাসিকান্না ছুঁয়ে ছুঁয়ে আমি,
শিশু-বালক-কিশোর পেরিয়ে উত্তাল যৌবনা;এক প্রাণ!


উদ্দাম গাত্র বিন্যাস সাথে টগবগে রক্ত-যেনো উচ্চ দাহ্য,
সামান্য আগুন পেলে ঘটাবে বিশাল অগ্নিকাণ্ড!
জীবন ও যুদ্ধে রণাঙ্গনে যেনো আমি এক তেজি ঘোড়া-
বয়ে বেড়াই,আপন শিরোনামহীন এক বীর!


যৌবনা সূর্যতাপ দিনে দিনে আমাকে শুধু ভীরই করেনি,
করেছে অসীম নির্ভীক,সাহসী হন্তারক!
করেছে স্বচ্ছল,জুগিয়েছে নতুন বিনির্মাণের প্রেরণা।
জাগিয়েছে আশা;পৃথিবীর চোখ টিপে কানামাছি খেলায় মগ্ন-
সেসকল ধড়িবাজদের মাথা নুইয়ে দিতে।
আমি যেনো বৃশ্চিক কিংবা সিংহ রাশির জাতক;
উত্তাল সমুদ্র ঝড় যদি সুনামি বয়ে আনে-
তাতে রুখে গিয়ে কাপুরুষ পরিচয় আমার নেই।
আমার নেই সন্দিহান ভাবে দিগন্তের উজ্জ্বলতা না ছুঁয়ে-
চাতকের মতো দ্বিধাহীন কিংবা বেলায় অবেলায় আলসেমি।


আমার আছে নোঙরহীন ভাঙা জাহাজে-
উত্তাল ঢেউ বেয়ে চূর্ণ মাস্তুল ধরে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা।
চারদিক বিষ-পানি যেনো সুশান্ত মহান।
অন্ধকার থেকে আলোর পৃথ্বী এক বিশাল ফারাক পেরিয়ে-
আমার এই প্রাণ জেগে আছে বীরদর্পে পাহাড় সমান বিজয়ী উল্লাসে।


১৭ শ্রাবণ ১৪২৭ || ০৩ আগস্ট ২০২০
নারায়নগঞ্জ